বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২৩ বছরে বরফ গলা বেড়েছে ৬৩ শতাংশ

  •    
  • ১৯ মে, ২০২১ ১৯:২৭

তিনটি প্রতিষ্ঠানের যৌথ গবেষণায় বলা হয়েছে, গত তিন দশকে বরফ গলার হার বিপজ্জনকভাবে বেড়েছে। নব্বইয়ের দশকে বছরে শূন্য দশমিক আট ট্রিলিয়ন হারে বরফ গললেও ২০১৭ সালে এই হার পৌঁছায় এক দশমিক তিন ট্রিলিয়নে।

পৃথিবীজুড়ে বরফ গলার হার বাড়ছে বলে উঠে এসেছে এক গবেষণায়। এতে বলা হয়েছে, ১৯৯৪ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ২৩ বছরে প্রায় ২৮ ট্রিলিয়ন টন বরফ গলেছে। এটি পুরো যুক্তরাজ্যকে ১০০ মিটারের আস্তরণে ঢেকে দিতে সক্ষম। এ সময়ে বরফ গলার হার বেড়েছে ৬৩ শতাংশ।

যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ লিডসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইউনিভার্সিটি অফ এডিনবার্গ, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন ও তথ্যবিজ্ঞান নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান আর্থওয়েভের যৌথ গবেষণায় বলা হয়েছে, গত তিন দশকে বরফ গলার হার বিপজ্জনকভাবে বেড়েছে। নব্বইয়ের দশকে বছরে শূন্য দশমিক আট ট্রিলিয়ন হারে বরফ গললেও ২০১৭ সালে এই হার পৌঁছায় এক দশমিক তিন ট্রিলিয়নে।

বিশ্বজুড়ে বরফ গলায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। এতে পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে অনেক দেশ। এমনকি বন্যপ্রাণীদেরও প্রাকৃতিক বাসস্থানও নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের ন্যাচারাল এনভায়র‍নমেন্ট রিসার্চ কাউন্সিলের অর্থায়নে পরিচালিত এই গবেষণায় দেখা গেছে, ২৩ বছরে বরফ গলার হার বেড়েছে ৬৩ শতাংশ। এর বড় অংশই গলেছে অ্যান্টারটিকা ও গ্রীনল্যান্ডে।

গবেষক দলের নেতৃত্ব দেয়া ড. থমাস স্ল্যাটার জানান, এই প্রথমবারের মতো বিশ্বজুড়ে বরফ গলার তথ্য পেতে স্যাটেলাইটের সাহায্য নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘গত তিন দশক ধরে পৃথিবীর বরফের অবস্থা জানার ব্যাপক চেষ্টা চলছিল। স্যাটেলাইটের ব্যবহার এতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে দিয়েছে। বিপুল অঞ্চল ও পৌঁছানো সম্ভব নয় এমন অনেক জায়গার বরফের তথ্যও পাওয়া গেছে।’

গবেষণা জরিপে প্রায় দুই লাখ ১৫ হাজার পর্বতে জমে থাকা বরফ, মেরু অঞ্চলে অ্যান্টার্কটিকা ও গ্রিনল্যান্ডের বরফ, অ্যান্টার্কটিকায় ভাসমান বরফ এবং আর্কটিক ও সাউদার্ন সাগরের বরফের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

জরিপে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি সাত দশমিক ছয় ট্রিলিয়ন বরফ গলেছে আর্কটিক সাগরে এবং অ্যান্টার্কটিকে বরফ গলেছে ছয় দশমিক পাঁচ ট্রিলিয়ন।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, মেরু অঞ্চলের বরফ সূর্যের তাপকে প্রতিফলিত করে পৃথিবীর বাইরে ঠেলে দিত। বরফ গলায় এখন আর সেটি সম্ভব হবে না, বরং গলে যাওয়া বরফের পানি সূর্যের তাপকে আরও বেশি করে ধরে রাখবে। এতে পৃথিবীর আর্কটিক অঞ্চলে বরফ গলার হারও বাড়বে।গবেষণায় বলা হয়েছে, ভূমিতে থাকা বরফ গলার কারণে সমুদ্রপৃষ্টের উচ্চতা ৩৫ মিলিমিটার বেড়েছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা প্রতি সেন্টিমিটার বৃদ্ধিতে প্রায় দশ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েন।

পর্বতে জমে থাকা বরফ পৃথিবীর মোট বরফের মাত্র এক শতাংশ হলেও এটি হারিয়ে যাওয়া বরফের প্রায় এক চতুর্থাংশ।

গবেষক দলের এক সদস্য ইনেস ওটোসাকা বলেন, ‘বৈশ্বিক পরিসরে পর্বতের গলা বরফ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ালেও এটি পর্বতাঞ্চলের মানুষের সুপেয় পানির অন্যতম উৎস। এই বরফ গলার ঘটনা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক উভয় পরিসরেই সংকট তৈরি করবে।’

এ বিভাগের আরো খবর