বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনাভাইরাস প্রভাব ফেলছে মানব জিনে!

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১০ মে, ২০২১ ১৯:৩৬

গবেষণায় তিনটি আলাদা ডিএনএ সিক্যুয়েন্সিং কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে। আর সব নমুনাতেই ভাইরাল উপাদানের অংশবিশেষ পেয়েছেন গবেষকেরা। তবে তারা বলছেন, এসব অবশেষ নতুন করে সক্রিয় ভাইরাস তৈরি করতে সক্ষম নয়।

কোভিড-১৯-এর জন্য দায়ী করোনাভাইরাসের আরএনএ আণবিক প্রক্রিয়ায় (রিভার্স ট্রান্সক্রিপটেজ) রূপান্তরিত হয়ে সংক্রমিত ব্যক্তির ডিএনএকে প্রভাবিত করতে সক্ষম।

এ সংক্রান্ত প্রমাণ উপস্থাপন করে একদল গবেষক বলছেন, করোনাভাইরাসের জিনগত বৈশিষ্ট্য মানব ক্রোমজমে যুক্ত হওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। এর ফলে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শেষ হওয়ার পরেও অনেকে দীর্ঘমেয়াদে অসুস্থ থাকছেন। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে মাস পার হয়ে যাওয়ার পরেও তারা করোনা পজেটিভ হিসেবে শনাক্ত হতে পারেন।

গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির স্টেম সেল বিশেষজ্ঞ রুডলফ জেনিস এবং জিন বিশেষজ্ঞ রিচার্ড ইয়ং। তাদের গবেষণাটি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসে (পিএসএএস) প্রকাশিত হয়েছে

গবেষক দলটি এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে প্রি-প্রিন্ট জার্নাল বায়োআর্কাইভে একটি ধারণাপত্র প্রকাশ করেছিল। তখন এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়।

অনেকেই তখন অভিযোগ তুলেছিলেন, এ ধরনের ধারণাপত্র ফাইজার, মডার্নার মতো এমআরএনএ টিকা সম্পর্কে জনমনে ভীতি তৈরি করতে পারে। কারণ করোনার আরএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এসব টিকা তৈরি হয়েছে। তবে জেনিস ও ইয়ং বলছেন, তাদের গবেষণার ফল কোনোভাবেই টিকাকেন্দ্রিক নয়।

পিএনএএস একটি প্রভাবশালী পিআর রিভিউড জার্নাল, যেখানে যাচাই-বাছাই শেষে গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়।

সায়েন্স ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে বলা হয়, মানবদেহে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। হাজার হাজার বছর ধরে এসব ভাইরাসের জিনগত কিছু উপাদান মানুষের জিনের অংশও হয়ে গেছে। লাইন ওয়ান নামে পরিচিত এ ধরনের উপাদান মানব জিনে এখন ১৭ শতাংশ। জেনিস ও ইয়ংয়ের দলের গবেষণায় টেস্ট টিউব প্রমাণ যাচাই করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে করোনাভাইরাসে মানব কোষ আক্রান্ত হওয়ার পর এই ভাইরাসের লাইন ওয়ান নতুন করে কোষের ক্রোমজমে যুক্ত হতে সক্ষম।

এই গবেষণায় তিনটি আলাদা ডিএনএ সিক্যুয়েন্সিং কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে। আর সব নমুনাতেই ভাইরাল উপাদানের অংশবিশেষ পেয়েছেন গবেষকেরা। তবে তারা বলছেন, এসব অবশেষ নতুন করে সক্রিয় ভাইরাস তৈরি করতে সক্ষম নয়। এগুলো কেবল মানব ডিএনএতে প্রভাব ফেলতে পারে।

এ বিভাগের আরো খবর