নতুন আবিষ্কৃত এক প্রজাতির পিঁপড়ার নামকরণে প্রথমবারের মতো জেন্ডার নিরপেক্ষতাকে বেছে নেয়া হয়েছে।
এটি পাওয়া গেছে ইকুয়েডরের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় চিরসবুজ এক বনে, এটাই সম্ভবত একমাত্র প্রজাতি যার কোনো জেন্ডারভিত্তিক নাম দেয়া হয়নি।
বিবিসি প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে মানুষের সম্মানে শত শত পিঁপড়ার নামকরণ করা হয়েছে। নামকরণে এই (ae) ব্যবহার করা হয়েছে নারী বোঝাতে, আর পুরুষ বোঝাতে ব্যবহার করা হয়েছে আই (i)।
এই ক্ষুদ্রাকৃতির পিঁপড়ার একটি বৈজ্ঞানিক নামও দেয়া হয়েছে, যার শেষে দে (they) রয়েছে। এর বৈজ্ঞানিক নাম স্টুমিজেনাস আয়ার্থে (Strumigenys ayersthey)। এর নামকরণ করা হয়েছে শিল্পী জেরেমি আয়ার্সের সম্মানার্থে। জেরেমি নন-বাইনারি জেন্ডার পরিচয়কে সমর্থন করেন বলে নামকরণে ভিন্নতা আনা হয়েছে।
আমেরিকার ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি নিবন্ধ প্রকাশ হয়েছে, সেখানে একটি দল নামের ক্ষেত্রে জেন্ডার চিহ্নিত করতে সম্প্রতি ইংরেজি প্রোনাউন দে, দেম, দেয়ার (the, them, ther) ব্যবহারের বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন।
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বোহের বলেন, ‘এমন সুন্দর ও বিরল প্রাণীর প্রজাতি পাওয়া জীব ও মানবজাতির জন্য খুব সৌভাগ্যের ও উদ্যাপন করার বিষয়।’
ভাষাকে অল্প বদলালেও সেটি সংস্কৃতির ওপর বড় ধরনের প্রভাব রাখে। ভাষা গতিশীল এবং এর পরিবর্তন হওয়া দরকার, সেটা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও বলে মনে করেন তিনি।
ইকুয়েডরে রিসার্ভা রিও কানান্ডের অনুসন্ধানে পিঁপড়াটি প্রথম পাওয়া যায় ২০১৮ সালে।
এরপর অনুসন্ধানী দলটি খেয়াল করে, এটি আরও অন্তত ৮৫০টি প্রজাতির মতোই ও একই পরিবারভুক্ত।