বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা: তথ্য চেয়ে ভারত সরকারকে বিজ্ঞানীদের চিঠি

  •    
  • ৫ মে, ২০২১ ১৩:৩৬

মহামারি নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছে ভারত সরকার। দেশটির শীর্ষ স্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিএমআর করোনা পরীক্ষা করাতে আসা সবার বয়স, বাসস্থান ও শারীরিক অবস্থার তথ্য সংগ্রহ করেছে। এ তথ্যগুলো কিছু প্রশ্নের উত্তর জোগাতে সহায়তা করতে পারে।

ভারতে করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় শিগগিরই সরকারি সংস্থাগুলোর সংগ্রহ করা তথ্য ব্যবহারের সুযোগ চেয়েছেন দেশটির বিজ্ঞানীরা।

গবেষণার জন্য তথ্য সরবরাহ নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়ে সরকারের কাছে খোলা চিঠিও দিয়েছেন তারা।

করোনা শনাক্ত ও জিনোম সিকোয়েন্সের ডাটাবেজ উন্মুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে ২৯ এপ্রিল প্রকাশিত ওই চিঠিতে ৭৪০ জন বিজ্ঞানী স্বাক্ষর করেছেন।

বিজ্ঞানবিষয়ক ওয়েবসাইট সায়েন্সম্যাগের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

স্বাক্ষরকারীদের একজন পশ্চিমবঙ্গের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিক্যাল জেনোমিকসের গবেষক পার্থপ্রতীম মজুমদার বলেন, ‘এ তথ্যগুলো পেতে এখন অনেক ভোগান্তি ও আবেদনের ভেতর দিয়ে যেতে হচ্ছে।’ বিষয়টি নিয়ে পরদিন শুক্রবারই একটি প্রজ্ঞাপনে গবেষকদের তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা হবে বলে জানান সরকারের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা কে বিজয়রাঘবন।তবে এরপরও পরিস্থিতির কোনো বদল ঘটেনি বলে অভিযোগ গবেষকদের। তারা জানিয়েছেন, তথ্য চেয়ে করা অনেক আবেদনের কোনো উত্তরও দেয়নি সরকারি সংস্থাগুলো। মহামারি নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছে ভারত সরকার। দেশটির শীর্ষ স্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) করোনা পরীক্ষা করাতে আসা সবার বয়স, বাসস্থান ও শারীরিক অবস্থার তথ্য সংগ্রহ করেছে।

এ তথ্যগুলো কিছু প্রশ্নের উত্তর জোগাতে সহায়তা করতে পারে। যেমন আগের কোনো রোগে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে করোনার ঝুঁকি বেশি কি না, কাদের ক্ষেত্রে টিকা কেমন কাজ করছে ইত্যাদি। ভেলোর ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজের অণুজীব গবেষক গগণদীপ ক্যাং বলেন, ‘অনেকেই জানতে চান, জায়গাভেদে মৃত্যুহার কেমন; শহর ও গ্রামভেদে এ হার আলাদা কি না। মানুষ ঠিকমতো সেবা পাচ্ছে কি না, সেটি বোঝার জন্য এ তথ্যগুলো দরকার।’

পুনের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের জীববিজ্ঞানী এল. এস শশীধর জানান, করোনা মহামারি মোকাবিলায় যে পরামর্শক কমিটি সরকারকে সহায়তা করছে তাদের কাছেও পর্যাপ্ত তথ্য নেই।গবেষক পার্থপ্রতীম মজুমদার জানান, মহারাষ্ট্রে বি.১.৬১৭ নামের করোনার ধরনটি ফেব্রুয়ারিতেই ব্যাপকভাবে ছড়াতে শুরু করে। কিন্তু এ ধরনটি বেশি সংক্রামক বা বিপজ্জনক কি না, সে বিষয়ে তথ্য জানাতে দেরি করেছিল ভাইরাস নিয়ে কাজ করা সরকারি সংস্থা।তিনি বলেন, ‘শুধু সরকার নয়, এ তথ্যগুলোর প্রতি আমাদের অনেকের নজর রাখা দরকার।’

বিজ্ঞানীদের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত তথ্য সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও এ বিষয়ে এখনও কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। পার্থপ্রতীম মজুমদার বলেন, ‘সরকারি প্রজ্ঞাপনে শুধু বলা হয়েছে, খুব শিগগিরই তথ্য দেয়া হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সেটি কখন?’

তিনি বলেন, ‘এর আগেই অনেক সরকারি সংস্থা তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি সময়মতো রক্ষা করেনি।’

এ বিভাগের আরো খবর