বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মঙ্গলে উড়ছে নাসার হেলিকপ্টার

  •    
  • ২৬ এপ্রিল, ২০২১ ১১:৫০

ইনজেন্যুনিটি মূলত ১ দশমিক ৮ কেজি ওজনের একটি ড্রোন। মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে এ ধরনের যানের গতিশীলতা বুঝতে প্রযুক্তিগত পরীক্ষাটি চালানো হচ্ছে। কারণ ভবিষ্যতে দুর্গম জায়গাগুলোতে অনুসন্ধানের জন্য মহাকাশচারী ও রোবট পাঠানোর আগে এ ধরনের ড্রোন পাঠাতে চান বিজ্ঞানীরা।

লাল গ্রহে তৃতীয়বার সফল অবতরণ করলো যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ইনজেন্যুনিটি মার্স হেলিকপ্টার।

রোববার মঙ্গলের বুকে প্রথমে পাঁচ মিটার উচ্চতায় ওঠে ছোট্ট হেলিকপ্টারটি। তারপর ধীরে ধীরে ৫০ মিটার পর্যন্ত উড়ে ৮০ সেকেন্ডের মধ্যে নিরাপদে মঙ্গলপৃষ্ঠে নেমে আসে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হেলিকপ্টারটি কতোদূর যেতে পারে, সেটাই বোঝার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। এ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে হেলিকপ্টারটি ধ্বংসও হতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।

এর আগে গত ১৯ ও ২২ এপ্রিল কিছু সময়ের জন্য মঙ্গলপৃষ্ঠ থেকে উড়েছিল হেলিকপ্টারটি।

ইনজেন্যুনিটিকে মঙ্গলে বয়ে নিয়ে গেছে নাসার পাঠানো পারসিভারেন্স রোভার। গত ফেব্রুয়ারিতে মঙ্গলের জেজিরো ক্রেটারে অবতরণ করে রোভারটি।

ইনজেন্যুনিটি মূলত ১ দশমিক ৮ কেজি ওজনের একটি ড্রোন। মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে এ ধরনের যানের গতিশীলতা বুঝতে প্রযুক্তিগত পরীক্ষাটি চালানো হচ্ছে। কারণ ভবিষ্যতে দুর্গম জায়গাগুলোতে অনুসন্ধানের জন্য মহাকাশচারী ও রোবট পাঠানোর আগে এ ধরনের ড্রোন পাঠাতে চান বিজ্ঞানীরা।

জেজিরো ক্রেটারে প্রাণের সন্ধানে পারসিভারেন্স রোভার পাঠানো নাসার বিজ্ঞানীদের মূল লক্ষ্য। তবে এর আগে আরও দুই বার ইনজেন্যুনিটিকে উড়তে দেয়ার অনুমতি দিয়েছেন কর্মকর্তারা।

গত এক সপ্তাহের পরীক্ষায় এক টন ওজনের রোভার এই হেলিকপ্টারটির রেডিও স্টেশন ও ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করছে। স্থির ছবি তোলার পাশাপাশি ছোট ছোট ভিডিও’ও ধারণ করছে সেটি।

বাতাসে ভাসমান অবস্থায় ছবি তুলেছে ইনজেন্যুনিটিও। আড়াআড়ি রঙিন ছবি ও লম্বালম্বিভাবে সাদাকালো ছবি তুলতে সক্ষম এটি। নেভিগেশনের সাহায্যে পাথরও চিহ্নিত করতে পারে ইনজেন্যুনিটি।

অবশ্য এ পর্যন্ত যতো ছবি তুলেছে রোভার ও ইনজেন্যুনিটি, সেসবের বেশিরভাগই এখন হাতে পাচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা। অপেক্ষা করতে হবে রোভারের পৃথিবীতে অবতরণ করা পর্যন্ত।

পৃথিবী থেকে মঙ্গলের দূরত্ব প্রায় ৩০ কোটি কিলোমিটার। মহাকাশ হয়ে মঙ্গল থেকে রেডিও সংকেত পৌঁছাতে সময় নেয় সাড়ে ১৬ মিনিট।

মঙ্গলে বাতাসের ঘনত্ব পৃথিবীর মাত্র এক শতাংশ। ভীষণ পাতলা বায়ুমণ্ডল থাকায় গ্রহটিতে যেকোনো উড়োযান ওড়ানো খুবই কঠিন কাজ।

ইনজেন্যুনিটিকে মঙ্গলে ওড়ানোর জন্য এর ওজন রাখা হয়েছে ভীষণ কম। একইসঙ্গে এর অতি দ্রুত গতির ব্লেডগুলো প্রতি মিনিটে আড়াই হাজার বার ঘুরতে পারে। নিয়ন্ত্রণেও এটি স্বয়ংসম্পূর্ণ।

এ বিভাগের আরো খবর