বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গবেষণায় ব্যয় কমলে বিপর্যয়, শঙ্কা যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীদের

  •    
  • ৩১ মার্চ, ২০২১ ১৬:০৫

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, গবেষণা খাতে তহবিল কমলে মাঝপথে অনেক প্রকল্পের কাজ বাতিল হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া মেধাবী বিজ্ঞানীরা দেশ ছেড়ে অন্য দেশে পাড়ি জমাতে পারেন।

গবেষণা ব্যয় কমানো হলে সার্বিক বিপর্যয় হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী।

তাদের ভাষ্য, গবেষণা খাতে তহবিল কমলে মাঝপথে অনেক প্রকল্পের কাজ বাতিল হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া মেধাবী বিজ্ঞানীরা দেশ ছেড়ে অন্য দেশে পাড়ি জমাতে পারেন।

বুধবার দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

করোনাভাইরাস মহামারি থেকে শুরু করে জীবাণু প্রতিরোধ, জলবায়ু সংকটসহ অনেক বিষয় নিয়ে গবেষণা করছেন যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা।

দেশটির প্রধান বিজ্ঞানবিষয়ক সরকারি অর্থ প্রদানকারী সংস্থা ইউকে রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জানায়, অফিশিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্সের (ওডিএ) আওতায় দেয়া অনুদান ২৪ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড থেকে ১২ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ডে নামানো হয়েছে। এর পরপরই ওইসব গবেষণা প্রকল্পে অর্থ সরবরাহ কমে যায়।

চলতি বছরের শুরুর দিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে আসে যুক্তরাজ্য। এর ফলে ইইউর ইন্টারন্যাশনাল হরাইজন প্রোগামে যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীদের গবেষণায় অংশ নিতে ইউকে রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশনকে প্রতি বছর অর্থ দিতে হবে। অর্থের এ পরিমাণ ২০০ কোটি পাউন্ড, যা দিতে হবে তহবিলটির সাড়ে ৮০০ কোটি পাউন্ডের বার্ষিক বাজেট থেকে।

যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, গবেষণায় বরাদ্দ কমানোর ফলে দেশটির ১৮ হাজার গবেষকের চাকরি ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

নোবেলজয়ী ও লন্ডনের ফ্রান্সিস ক্রিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক স্যার পল নার্স বলেন, ‘সরকারের উচিত বিজ্ঞানের পক্ষে সহায়তা দেয়া অব্যাহত রাখা; এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তহবিল কমানো হলে এর পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে। এমনকি অস্তিত্ব সংকটে পড়াও অস্বাভাবিক কিছু নয়।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের এ পদক্ষেপ বিজ্ঞানীদের অন্য জায়গায় চলে যেতে বাধ্য করবে। এটি পারস্পরিক যোগাযোগ ধ্বংস করে দেবে। এটি বিশ্বের বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক প্রভাবকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এর কোনো মানে হয় না।’

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বিভিন্ন সময়ে যুক্তরাজ্যকে ‘বৈশ্বিক বিজ্ঞানবিষয়ক সুপারপাওয়ারে’ পরিণত করার আকাঙ্ক্ষার কথা বলেছেন। কিন্তু দেশটির বিজ্ঞানীদের ভাষ্য, যেখানে অন্যান্য দেশ গবেষণা খাতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে, সেখানে যুক্তরাজ্য এ খাতে ব্যয় কমাচ্ছে।

করোনাসৃষ্ট সংকটের কারণে চিকিৎসা সংক্রান্ত দাতব্য তহবিলে মন্দা দেখা দিলে যুক্তরাজ্যে গবেষণা খাতে সমস্যা আরও বেড়ে যায়।

এ বিভাগের আরো খবর