১০০ বছরের জন্য হাঁফ ছেড়ে বসতে পারে পৃথিবীবাসী। কারণ অন্তত এ সময়ের মধ্যে নিশ্চিতভাবেই পৃথিবীর দিকে আসছে না অ্যাপোফিস গ্রহাণু। জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
২০০৪ সালে প্রথম আবিষ্কৃত হয় ৩৪০ মিটার ব্যাসের গ্রহাণুটি। প্রাচীন মিসরে বিশৃঙ্খলা ও অন্ধকারের দেবতা অ্যাপোফিসের নামে হয় এর নামকরণ।
পৃথিবীর জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক গ্রহাণুগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত অ্যাপোফিস। সবশেষ গত ৫ মার্চ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি আসে গ্রহাণুটি। ১ কোটি মাইল দূর থেকে অতিক্রম করে পৃথিবীকে।
নাসা বলছে, এবার মোটামুটি ১০০ বছরের জন্য অ্যাপোফিসের ঝুঁকি থেকে পৃথিবী মুক্তি। তবে অবশ্যই যদি গ্রহাণুটির এখনকার গতিপথ ও বেগ অব্যাহত থাকে, তা হলেই ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।
আগের পূর্বাভাসে ২০২৯, ২০৩৬ ও ২০৬৮ সালে গ্রহাণুটি পৃথিবীতে আঘাত হানার মতো কাছাকাছি আসতে পারে বলে জানিয়েছিল নাসা। নতুন তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে সে সব শঙ্কাই পুরোপুরি উড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
নাসার পৃথিবীর কাছাকাছি মহাজাগতিক বস্তু বিষয়ক গবেষক ডেভিড ফারনোশিয়া বলেন, ‘শেষ শঙ্কা ছিল ২০৬৮ সালকে ঘিরে। কিন্তু এখন আর সে ঝুঁকিও দেখছি না আমরা। আমাদের হিসাব বলছে, কমপক্ষে আগামী ১০০ বছরের মধ্যে পৃথিবীর নিরাপদ দূরত্ব অতিক্রম করবে না অ্যাপোফিস।
তবে ২০২৯ সালের ১৩ এপ্রিল সবচেয়ে কাছ থেকে পৃথিবীকে অতিক্রম করে যাবে গ্রহানুটি। ভূপৃষ্ঠের ৩২ হাজার কিলোমিটার দূর ঘেঁষে যাবে, যা পৃথিবী ও চাঁদের দূরত্বের ১০ ভাগের ১ ভাগ।
পৃথিবীর পূর্ব গোলার্ধ্ব থেকে অর্থাৎ এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের অংশবিশেষের বাসিন্দারা সে সময় খালি চোখে অ্যাপোফিস দেখতেও পারবেন। এতদিন যে সুযোগ ছিল খালি নভোচারী ও মহাকাশবিজ্ঞানীদের।
গত ৫ মার্চও পৃথিবী থেকে অ্যাপোফিসকে দেখা গিয়েছিল। তবে সে জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন টেলিস্কোপ ও বাইনোকুলারের দরকার হয়েছিল।