বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সৌরচালিত গাড়ি বানালেন ওড়িশার কৃষক

  •    
  • ১৫ মার্চ, ২০২১ ১২:০৫

ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার কেরানজিয়া এলাকার বাসিন্দা সুশীল আগারওয়াল। গত বছর করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ওই সময়ই নিজের ওয়ার্কশপে সৌরচালিত গাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন তিনি।

সৌরচালিত ব্যাটারিসম্পন্ন চার চাকার ইলেকট্রিক গাড়ি বানিয়েছেন ভারতের ওড়িশা রাজ্যের এক কৃষক।

৮৫০ ওয়াট মোটরের ১০০ এএইচ/৫৪ ভোল্টের ব্যাটারিতে একবার চার্জ দিলেই ৩০০ কিলোমিটার পথ যেতে পারবে গাড়িটি।

বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের রোববারের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার কেরানজিয়া এলাকার ওই কৃষকের নাম সুশীল আগারওয়াল। গত বছর করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ওই সময়ই নিজের ওয়ার্কশপে সৌরচালিত গাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন তিনি।

সুশীল বলেন, ফুল চার্জ দেয়ার পর ৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সক্ষম তার নির্মিত গাড়ি। সৌরচালিত ব্যাটারি ফুল চার্জ হতে সাড়ে আট ঘণ্টা সময় লাগে। এসব ব্যাটারি ১০ বছর পর্যন্তও দীর্ঘস্থায়ী হয়।

তিনি বলেন, ‘দুজন মেকানিকের সাহায্যে মোটর ওয়াইন্ডিং, ইলেকট্রিক ফিটিং, চেসিসসহ গাড়ির যাবতীয় সব কাজ আমার ওয়ার্কশপেই করা হয়। ইলেকট্রিক কাজের বিষয়ে আমার এক বন্ধুও পরামর্শ দেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘লকডাউনের বিধিনিষেধ আরোপের সময় ঘরেই থাকতে হয়েছিল। সে সময় জানতে পারি, বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পর জ্বালানির দাম বাড়বে। তখন আমি নিজের জন্য গাড়ি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিই।’

গাড়ি নির্মাণবিষয়ক কয়েকটি বই পড়ে ও ইউটিউবে ভিডিও দেখে সুশীল সৌরচালিত গাড়িটি নির্মাণ করেছেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। তিন মাস আগে গাড়িটির নির্মাণকাজ শেষ করেন তিনি।

ময়ূরভঞ্জের আঞ্চলিক পরিবহন দপ্তরের কর্মকর্তা গোপাল কৃষ্ণ দাস বলেন, ‘সুশীল লকডাউনের সময় সৌরচালিত গাড়ি নকশা ও প্রস্তুত করার চেষ্টা করেছেন, এমন খবর শুনে আমি আনন্দিত। পরিবেশবান্ধব এসব গাড়ি তেমন কোনো দূষণ ঘটায় না। সৌরচালিত গাড়িই দেশের মোটরযান শিল্পের ভবিষ্যৎ।

‘সমাজের উচিত এ ধরনের উদ্ভাবনকে উৎসাহ দেয়া। এআরএআই, সিআইআরটিসহ ভারত সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পরামর্শ করে গাড়িটির নকশার উন্নত করা উচিত। গাড়িটি রাস্তায় নামানো হলে তা যেন নিরাপদ, স্বস্তি ও দক্ষতার সঙ্গে চলতে পারে, তার জন্যও বিভিন্ন সংস্থার পরামর্শ দরকার।’

এ বিভাগের আরো খবর