বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মঙ্গলে হাঁটছে পারসিভারেন্স

  •    
  • ৬ মার্চ, ২০২১ ১৯:৩১

পারসিভারেন্স চলার দৃশ্য দেখে উচ্ছ্বসিত রোভারটির মবিলিটি ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্যাইস জারিফিয়ান। বলেন, ‘আমরা যে মঙ্গলের বুকে চাকা চলার দাগ রাখতে পেরেছি, তা আপনি দেখতে পারেন। চাকার এই দাগ দেখার চেয়ে আমি কিছুতে বেশি আনন্দিত হয়েছি কি না, তা আমি মনে করতে পারছি না।’

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসার পাঠানো পারসিভারেন্স রোভারের চাকা ঘুরতে শুরু করেছে। শুরু হয়েছে এর মঙ্গলগ্রহ অন্বেষণ মিশন।

নাসা থেকে বৃহস্পতিবার জানানো হয়, অবতরণের দুই সপ্তাহ পর রক্তিম গ্রহে রোভারটি নড়তে শুরু করে। তবে অবতরণস্থল থেকে খুব বেশি দূরে যায়নি রোভারটি। বিবিসি জানিয়েছে, মাত্র সাড়ে ছয় মিটার (২১ ফুট) পর্যন্ত এগিয়েছে এটি।

এটিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন নাসার এই প্রজেক্টের ডেপুটি সায়েন্টিস্ট ক্যাটি স্ট্যাক মর্গান।

বিবিসি নিউজকে তিনি বলেন, ‘রোভারটি নিজে এখনও অনেক ধরনের কারিগরি নিরীক্ষা সারছে, চাকা ঘোরা শুরু হওয়ামাত্র আমরা নিজেদের মঙ্গলগ্রহের বুকে অনুসন্ধানকারী হিসেবে বিবেচনা করতে পারি।’

গত বছরের জুলাইয়ে উড়াল দেয়ার পর ৩০ কোটি কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করে পারেসিভারেন্স। গ্রহটির ‘জেসেরো’ নামে পরিচিত নিরক্ষীয় অঞ্চলে সফলভাবে অবতরণ করে ছয় চাকার রোভারটি।

প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা জোরালো করতে পারসিভারেন্সকে গ্রহটির ‘জেসেরো’ ক্র্যাটার অববাহিকায় অবতরণের জন্য বেছে নেয় নাসা। বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, একসময় সেখানে একটি হ্রদ ছিল, পরে সেটি প্রাচীন এক নদীতে পরিণত হয়ে বিলুপ্ত হয়ে যায়।

শুকিয়ে যাওয়া বদ্বীপ আকৃতির সেই নদী ও লেকের তলানী মসৃণ নয়। এখানে পাথর ও বালির টিলা রয়েছে, আর বদ্বীপটি দেখতে প্রায় ৭৬ মিটার উঁচু।

মঙ্গলের মাটিতে অন্তত দুই বছর অবস্থান করবে পারসিভারেন্স রোভার। এই সময়ে গ্রহটির পাথুরে মাটি খনন করে সেখানে অতীতে কোনো প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কি না, তা খুঁজবে এটি।

জটিল যন্ত্রপাতি ও রোবোটিক বাহু থাকায় রোভারটি চালু করতে অনেকটা সময় নিয়েছেন ইঞ্জিনিয়াররা।

পারসিভারেন্সের চলা শুরুর খবর পেতে অপেক্ষায় ছিলেন নাসার সংশ্লিষ্ট সবাই। সে অপেক্ষার শেষ হয় বৃহস্পতিবার। এদিন রোভারটির চাকা একটু সামনে এগিয়ে যায়। এরপর ১৫০ ডিগ্রি ঘুরে সামান্য পিছিয়ে আসে।

পারসিভারেন্স চলার দৃশ্য দেখে উচ্ছ্বসিত রোভারটির মবিলিটি ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্যাইস জারিফিয়ান। বলেন, ‘আমরা যে মঙ্গলের বুকে চাকা চলার দাগ রাখতে পেরেছি, তা আপনি দেখতে পারেন। চাকার এই দাগ দেখার চেয়ে আমি কিছুতে বেশি আনন্দিত হয়েছি কি না, তা আমি মনে করতে পারছি না।

‘এই মিশন ও মবিলিটি টিমের জন্য এটা বিরাট এক মাইলফলক। আমরা পৃথিবীতে গাড়ি চালিয়েছি, কিন্তু মঙ্গলে গাড়ি চালানো আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল। এ জন্য শুরু থেকেই বছরের পর বছর অনেক মানুষ কাজ করেছে।’

এক মঙ্গল বর্ষে (৬৮৭ দিন) পারসিভারেন্স প্রায় ১৫ কিলোমিটার পথ ঘোরাঘুরি করবে, সময়টা পৃথিবীর প্রায় দুই বছরের সমান।

এ বিভাগের আরো খবর