বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মোরগের দিন শেষ, ডিম ফুটে বের হবে শুধু মুরগি ছানা

  •    
  • ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২১:০২

জন্মের পরপরই মোরগ ছানাদের মেরে ফেলা নিয়ে বিশ্বজুড়ে আছে বিতর্ক। তবে খামারিদের কাছে শেষ বিচারে আর্থিক লাভ-ক্ষতিই গুরুত্বপূর্ণ। খামার ব্যবস্থাপনা ছাড়াও ডিম ফোটাতে প্রচুর বিদ্যুৎ খরচের পর অর্ধেক ‘অপচয়’ মেনে নিতে একদমই রাজি নন ব্যবসায়ীরা।

বিশ্বব্যাপী পোল্ট্রি শিল্পে লুকিয়ে আছে বড়সড় এক ব্যয়ের হিসাব। এই শিল্পে ডিম ফুটে বের হওয়া মোরগ ছানা একদম অপছন্দ খামারিদের কাছে। কারণ, ডিম দেয়া মুরগির বদলে কেবল মাংসের জন্য মোরগ পালন আর্থিক দিক থেকে অলাভজনক।

বাংলাদেশে পোল্ট্রি মোরগ কিছুটা আয়ু পেলেও উন্নত দেশগুলোতে আর্থিক লাভ-ক্ষতির হিসাব কষে ডিম ফুটে বের হওয়ার পরপরই মেরে ফেলা হয় তাদের। বিশ্বে প্রতিবছর এভাবে স্বল্পায়ু নিয়ে প্রাণ হারায় প্রায় সাতশ কোটি মোরগ ছানা।

জন্মের পরপরই মোরগ ছানাদের এভাবে মেরে ফেলা নিয়ে বিশ্বজুড়ে আছে বিতর্ক। তবে খামারিদের কাছে শেষ বিচারে আর্থিক লাভ-ক্ষতিই গুরুত্বপূর্ণ। খামার ব্যবস্থাপনা ছাড়াও ডিম ফোটাতে প্রচুর বিদ্যুৎ খরচের পর অর্ধেক ‘অপচয়’ মেনে নিতে একদমই রাজি নন ব্যবসায়ীরা। আর তাই দীর্ঘদিন ধরে খোঁজা হচ্ছে মুক্তির উপায়।

ফ্রান্সের মতো ইউরোপের কিছু দেশ ২০২১ সালের মধ্যে মোরগ ছানা মেরে ফেলার মতো নৃশংসতার অবসান ঘটানোর চেষ্টা করছে। এজন্য ডিম ফোটার আগেই মুরগির লিঙ্গ শনাক্ত করার কৌশল উদ্ভাবন করেছে বেশ কিছু গবেষণা সংস্থা।

এ ক্ষেত্রে ডিমে তা দেয়ার আগেই মোরগ ফুটবে যেসব ডিম থেকে সেগুলো চিহ্নিত করে সরিয়ে ফেলা হয়। অপটিক্যাল প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিমের ভেতরের তরল পর্যবেক্ষণ করে বাছাই করা হয় ‘মোরগ দেয়া ডিম’।

তবে ইসরায়েলের একটি প্রতিষ্ঠান এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে, যাতে বাড়তি ঝুট ঝামেলা ছাড়াই ডিমের ভেতরে ভ্রূণের লিঙ্গ বদলে দেয়া যাবে। এতে সব ডিম ফুটেই বের হবে শুধু মুরগির ছানা। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, তাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করলে হ্যাচারিতে ডিমের ভেতরের মোরগের ভ্রূণ শনাক্ত করে জন্মের আগেই সেগুলো ধ্বংসের প্রয়োজন পড়বে না।

২০১৭ সালে যাত্রা শুরু করা ইসরায়েলি স্টার্টআপ সুস টেকনোলোজি এই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য এরই মধ্যে জিতে নিয়েছে ৩৩ লাখ ডলারের একটি পুরস্কার। উদ্ভাবনটি বাণিজ্যিকভাবে সারা বিশ্বের পোল্ট্রি খামারে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে তারা।

প্রতিষ্ঠানটি বলছে, তাদের প্রযুক্তি বিশেষ মাত্রায় শব্দ কম্পন তৈরি করে ডিমের ভেতরে লিঙ্গ নির্ধারণী জিনকে কেবল মুরগির ভ্রূণ তৈরিতে প্ররোচিত করবে। সুস-এর প্রযুক্তি ব্যবহার করে এখন ৬০ শতাংশ ডিম থেকে মুরগির ছানা পাওয়া যাচ্ছে। আগামীতে এই হার আরও বাড়বে বলে দাবি করছে প্রতিষ্ঠানটি।

সুস টেকনোলজির প্রধান নির্বাহী ইয়ায়েল অল্টার বলছিলেন, ‘আমরা ভ্রূণের লিঙ্গ পরিবর্তন করে মোরগ ছানার সংখ্যা তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমিয়ে আনতে চাই। এমনকি যদি সমস্ত ভ্রূণের লিঙ্গ নাও পরিবর্তন হয়, তারপরেও উল্লেখযোগ্য মাত্রায় একটি পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব হবে।’

ইসরায়েলের বেশ কিছু খামারে বাণিজ্যিকভাবে এই প্রযুক্তি সরবরাহে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে সুস টেকনোলজি। এর বাইরে ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রের খামারিরাও তাদের সহযোগিতা চেয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর