কানাডা ও গ্রিনল্যান্ডের মধ্যকার তুষারাচ্ছন্ন উপসাগর বাফিন বে। প্রতি শীতে মেরুর অন্ধকারে ছেয়ে যায় উপসাগর এলাকা। সেখানেই বসন্তে ডানা মেলে জলজ উদ্ভিদ ফাইটোপ্লাংকটন।
এই ফাইটোপ্লাংকটন বরফশীতল সাগরে তিমির দুই প্রজাতি বেলুগা ও নারহোয়েলের ইকোসিস্টেম জোরদার করে।
বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে ধারণা করছিলেন, ঘন বরফ ও তুষারে সূর্যের আড়ালে থাকা ফাইটোপ্লাংকটন তথা ফটোসিনথেটিক শ্যাওলা সুপ্ত অবস্থায় থাকে। তবে নতুন এক গবেষণা সে ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছে।
গবেষকরা দেখেন, বাফিন বের বরফের নিচে শীতের মৌসুম ফেব্রুয়ারিতেই ফাইটোপ্লাংকটন জন্মাতে শুরু করে। সে সময় উত্তর মেরুতে সূর্যের উঁকি দেওয়ার ঘটনা বিরল।
গবেষকদের একজন আছিম র্যানডেলহফ কানাডার কুইবেক সিটির ইউনিভার্সিটি ল্যাভালের সমুদ্রবিজ্ঞানী। তিনি ও তার সহকর্মীরা বাফিন বেতে একটি স্বচালিত ডুবোযান মোতায়েন করেন। এটি পানির তলদেশে ফটোসিনথেটিক প্রক্রিয়া ও শ্যাওলার ঘনত্ব নিরূপণ করে।
ডুবোযানের তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয় সায়েন্স অ্যাডভান্সেস নামের বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকীতে।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেব্রুয়ারিতে প্রায় দেড় মিটার বরফের নিচে ফাইটোপ্লাংকটন জন্মানোর পাশাপাশি কয়েক গুণ বাড়তে থাকে। সে সময়টাতে আলোর দেখা নেই বললেই চলে।
গবেষণায় দেখা যায়, বসন্তে বিকাশের চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকে ফাইটোপ্লাংকটন, যার শুরুটা হয় শীতে। আগে মনে করা হতো শুধু বসন্তেই জন্মায় উদ্ভিদটি।
সূত্র: সায়েন্স নিউজ