বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১২ বছর লড়াই শেষে নিয়োগ পেলেন বিউটি বেগম

  •    
  • ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ২৩:৩৭

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে হাজির হয়ে আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের কথা লিখিতভাবে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফদতরের পাঁচ কর্মকর্তা।

দীর্ঘ ১২ বছর আইনি লড়াই শেষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেলেন বিউটি বেগম।

গত ১০ ডিসেম্বর তাকে এ নিয়োগ দেওয়া হয় যা ভূতাপেক্ষভাবে কার্যকর হবে ২০১৭ সালের ৩ আগস্ট থেকে।

সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে হাজির হয়ে আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের (বিউটি বেগমের নিয়োগের তথ্য) কথা লিখিতভাবে জানান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফদতরের তৎকালীন মহাপরিচালকসহ পাঁচ কর্মকর্তা।

আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারক বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীসহ তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চে তারা হাজির হয়ে এ তথ্য জানান এবং নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে আদালত বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেন।

আদালতে বিউটি বেগমের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শফিক মাহমুদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

আদালতের আদেশ প্রতিপালন না করায় গত ৭ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামালসহ পাঁচ জনকে সোমবার তলব করেছিল আপিল বিভাগ।

অন্য চারজন হলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর মো. রমজান আলী, গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম, গাইবান্ধার সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুস সালাম ও গাইবান্ধার সদর উপজেলার সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাসুমুল ইসলাম।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলমও এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বিউটি বেগমের বিষয়টি তুলে ধরে আইনজীবী ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ২০০৮ সালে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বিউটি বেগম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হন। কিন্তু তাকে নিয়োগ না দিয়ে পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকারী নাজমা সুলতানাকে নিয়োগ দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। বিউটি বেগম নিয়োগ না পেয়ে গাইবান্ধার সহকারি জজ আদালতে মামলা করেন। মামলার শুনানি নিয়ে আদালত পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনকারী বিউটি বেগমকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন।

পরবর্তীতে জেলা জজ আদালত এবং হাইকোর্টেও আদেশ বহাল থাকে। এর বিরুদ্ধে আপিলের পরও আপিল বিভাগ ২০১৭ সালের ৩ আগস্ট ১৫ দিনের মধ্যে বিউটি বেগমকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন।

তিনি জানান, ওই আদেশের পরেও বিউটি বেগম নিয়োগ পাননি। এ কারণে আবার তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়। আদালত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ২ মার্চ আদালত অবমাননার রুল জারি করেন। রুলের জবাব দেননি বিবাদীরা। এ কারণে আপিল বিভাগ বিবাদীদের তলব করেছিলেন। এরপরই তারা সোমবার হাজির হয়ে তার নিয়োগের বিষয়টি আদালতকে জানান।

এ বিভাগের আরো খবর