বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) তৃতীয় ব্যাচের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী লোকমান হোসেন। বাড়ি বরিশালের দ্বীপ উপজেলা মেহেন্দগঞ্জের শ্রীপুরে। নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় সন্তান হওয়ায় আপাদমস্তক সংগ্রামী জীবন তার। তবে মুখের হাসি কোনোদিন মলিন হয়নি কোনো কিছুতেই। অমলিন হাসি নিয়ে ছেলেটি দৌড়ে বেড়িয়েছেন মানুষের জন্য, বৈষম্যহীন সমাজের জন্য। পাশে থেকেছেন সামর্থের মধ্যে সব ধরনের সামজিক কার্যক্রমে।
ব্যবসায় শিক্ষার স্নাতক-স্নাতকোত্তর হলেও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ততা ছিল না সদালাপী এই ছেলেটির। সংযুক্তি ছিল মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায়। যুক্ত ছিলেন মানুষের জন্য নিরাপদ পৃথিবী গড়ার কাজে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিল লোকমান। অনেকগুলো সংগঠন প্রাণ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে নিভৃত গাঁয়ের এ ছেলেটির হাত ধরেই।
লোকমান ক্যাম্পাসে থাকাকালীন সাহায্য চেয়েছে তার বন্ধুর জন্য, তার ছোটো ভাইদের জন্য। যেকোনো সমস্যায় যেকোনো সময়ে লোকমানকে পাওয়া যেত পহেলা ডাকেই, যেন ও ডাকের অপক্ষায়ই বসে থাকতো!
কত কত মানুষের জন্য কত কত কাজ! বন্যার ত্রাণ, শীতে দুস্থ মানুষের কাপড়, অসুস্থ-দুস্থ-অসহায় মানুষের জন্য টাকা সংগ্রহ, হাসপাতালের বারান্দায় রাত কাটানো সবই করেছে অভিযোগহীনভাবে, একান্ত নিজের কাজ মনে করে।
ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ সেই ছেলেটিই সবার সাহায্যপ্রার্থী। কী সকরুণ প্রকৃতির মনোভাব! লোকমান আজ ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত। অজান্তেই মস্তিষ্কে বাসা বেঁধেছে ৬x৪.৫ সেন্টিমিটার আয়তনের টিউমার। দুই একবার যে মস্তিষ্কের অতিথি লোকমানকে নিজের অবস্থান, বাহাদুরি জানান দিতে চায়নি তা নয়। তবে স্বভাবতই যা হয়! সংগ্রামী লোকমানের কাছে ছোট ছোট অসুস্থতা পাত্তা পায়নি কখনোই। ফলাফল, প্রবল আক্রোশে নিজের অবস্থান এখন জানান দিচ্ছে টিউমার, ছড়াচ্ছে ডালপালা, শেকড়! অস্বাভাবিক দ্রুততায় অবনতি হচ্ছে লোকমানের শারীরিক পরিস্থিতি।
খুব দ্রুততম সময়ে লোকমানকে নিতে হবে অপারেশন টেবিলে, প্রয়োজন ১০ লক্ষ টাকারও বেশি! কিন্তু নিম্নমধ্যবিত্ত একটি পরিবারের পক্ষে কী করে সম্ভব এত টাকা এত স্বল্প সময়ে ব্যবস্থা করা! তার ওপর, বড় সন্তান লোকমানের আয়েই চলত সংসারের চাকা।
লোকমান মানুষের জন্য কাজ করেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাজ করেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজদের জন্য কাজ করেছে। তবে এখন সময় এসেছে লোকমানের পাশে দাঁড়ানোর।
লোকমান অর্থাভাবে চিকিৎসা বঞ্চিত না হোক, কুসুমিত প্রাণ বেঁচে থাক! সুস্থ হয়ে আবার মানুষের জন্য কাজ করুক লোকমান। পৃথিবীর সকল বাংলাভাষীর কাছে সনির্বন্ধ অনুরোধ, লোকমানকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন! আপনার অংশগ্রহণে বেঁচে যেতে পারে এক সম্ভাবনাময় তরুণ প্রাণ।
লোকমানকে আর্থিক সহযোগিতার করতে নিচের মাধ্যমগুলোতে টাকা পাঠাতে বলা হয়েছে।
জহিরুল ইসলাম (লোকমান ভাইয়ের ছোট ভাই) 01810-381463 (বিকাশ/নগদ/রকেট)
Md Lokman Hossain 2201030018207(Dutch bangla Bangla Bank)
3640-101-066895 (Pubali Bank)
বিকল্প নাম্বার হিসেবে লোকমানের বন্ধু মিরাজ+8801740061262 (বিকাশ /নগদ/রকেট)
সার্বিক পরিস্থিতি জানার জন্য যোগাযোগ: শাহেদ সবুজমোবাইল: 01712227025
রবিউল ইসলাম (বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়)যোগাযোগ-01732581789