দেশজুড়ে বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে ইতিবাচক প্রভাব রাখায় জলবায়ু ও পরিবেশ বিভাগে সম্মানজনক এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস-২০২৩ অর্জন করেছে বনায়ন।
র্যাডিসন ব্লু ঢাকা হোটেলের ওয়াটার গার্ডেনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামে ১১টি বিজয়ী ও ১৩টি সম্মানসূচক উল্লেখসহ বিভিন্ন বিভাগে ২৪টি উদ্যোগকে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বনায়নের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন গোলাম মঈন উদ্দীন।
এ সময় তার সঙ্গে বনায়নের প্রতিনিধি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন হোর্হে লুইস মাসেদো, আহমেদ রায়হান আহসান উল্লাহ ও সাজ্জাদ হোসেন।
বাংলাদেশ সরকারের বন অধিদপ্তরের ব্যাপক পরিসরে বৃক্ষরোপণের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৮০ সালে যাত্রা শুরু করে বনায়ন প্রকল্প।
সরকারের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজিএস) অর্জনে শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এ প্রকল্প।
২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ ২৫ শতাংশে উন্নীত করার মাধ্যমে এসডিজি-১৩ (জলবায়ু কার্যক্রম) ও এসডিজি-১৫ (স্থলজ জীবন) লক্ষ্য অর্জনে সরকারকে সহায়তা করছে বনায়ন প্রকল্প।
বনায়নের মাধ্যমে দেশের বেসরকারি খাতে সর্ববৃহৎ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।
প্রতিবছর বনায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৫০ লাখ ফল, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়।
দেশের ২২টি জেলায় এ উদ্যোগের আওতায় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ পর্যন্ত বিনামূল্যে ৪৫টির বেশি বিভিন্ন প্রজাতির ১২ কোটি চারা বিতরণ করা হয়।
গত বছরগুলোতে ফলপ্রসূ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের মাধ্যমে বনায়ন দেশজুড়ে কয়েকটি ইমপ্যাক্ট জোন তৈরি করে।
বনায়নের উল্লেখযোগ্য কিছু প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কুষ্টিয়া বাইপাস রোড, যমুনা সেতু সড়ক সবুজায়ন।
বনায়ন প্রকল্প এ পর্যন্ত পাঁচবার সম্মানজনক প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার এবং একবার প্রধান উপদেষ্টার পুরস্কার পায়।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও অর্জন করে এ উদ্যোগ। এর মধ্যে গ্রিন লিডারশিপের জন্য এন্টারপ্রাইজ এশিয়া থেকে ‘এশিয়া রেসপন্সিবল অন্টারপ্রনারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ ও ‘বাংলাদেশ ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ রয়েছে।