বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমিতে’ কারাগার ভবন

  •    
  • ২৯ মার্চ, ২০২২ ১৯:৫৯

জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছে ভিন্ন কথা। জানিয়েছে, ১৪ একর ৭৬ শতাংশ জমির মালিক জেলা কারাগার। সে জমিতেই কারাগারের আবাসিক ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। কে বা কারা এ অভিযোগ তুলেছে তা জানা নেই।

জামালপুরে এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমিতে জেলা কারাগারের ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। জামালপুর প্রেস ক্লাবে মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেছেন আব্দুল বাতেন নামে প্রয়াত এক বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বজনরা। তবে এসব অভিযোগ মানতে নারাজ কারা কর্তৃপক্ষ।

সংবাদ সম্মেলনে প্রয়াত বাতেনের নাতি সাকিবুল আজাদ বলেন, ‘আমার নানা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন জীবিত থাকা অবস্থায় জামালপুর জেলা কারাগারের পূর্ব পাশে ২৫ শতাংশ জমির মধ্যে ২০ শতাংশ জমি আমার মা রাবেয়া আজাদকে ও ৫ শতাংশ খালা ফাতেমা আক্তারকে লিখে দেন। সেখানে তারা ২৬ বছর ধরে বাস করছেন। গত ৭ মার্চ সেই ২০ শতাংশের ১০ শতাংশ জায়গায় জেলা কারাগার ও গণপূর্ত বিভাগ ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জমিটি নিয়ে আদালতে কয়েকটি মামলা হয়েছে। প্রায় সব মামলার রায় আমাদের পক্ষে এসেছে। আদালতে আরও একটি মামলা চলছে। এর মধ্যেই কারাগার কর্তৃপক্ষ ও গণপূর্ত বিভাগ জমিটি দখল করে ভবন নির্মাণ চালিয়ে যাচ্ছে।’

রাবেয়া আজাদ বলেন, ‘আমার বাবা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। আজ এই দেশে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমি দখল করছে কিছু ক্ষমতাসীন। আমরা বিচার চাই, জমি ফেরত চাই।’

জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছে ভিন্ন কথা। জানিয়েছে, ১৪ একর ৭৬ শতাংশ জমির মালিক জেলা কারাগার। সে জমিতেই কারাগারের আবাসিক ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। কে বা কারা এ অভিযোগ তুলেছে তা জানা নেই।

জামালপুর জেলা কারাগারের জেলার আবু ফাত্তাহ বলেন, ‘জামালপুরে একটি আধুনিক ও মডেল কারাগার তৈরির জন্য একনেকে ২১০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাস হয়। গণপূর্ত বিভাগ একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

তিনি আরও বলেন, ‘যে জমির কথা বলা হচ্ছে, সেখানে কারাগারের আবাসিক ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। এখানে জমি দখলের সঙ্গে জেলা কারাগারের কোনো সম্পর্ক নেই। কারাগার কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগের বিষয়ে অবগত নয়।’

জামালপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মোবারক হোসেন বলেন, ‘জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ জমি বুঝিয়ে দেয়ার পরই সেখানে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেখানে জমি দখল করা হয়েছে কি না, কিংবা মামলা আছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর