বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নারীর চলার পথ সুগম করতে নাগরিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান

  • চট্টগ্রাম থেকে নাগরিক সাংবাদিক আকমল হোসাইন   
  • ২১ মার্চ, ২০২২ ২০:১০

ডিইসি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক বলেন, সংবিধানের ২৮.২ এবং ৩৫ নম্বর অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রীয় ও জনজীবনের সব ক্ষেত্রে নারীর সমান অধিকার এবং চলাফেরার স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা-২০১১ অনুযায়ী শ্রমবাজার ও কর্মক্ষত্রে সমান অধিকারসহ সব ধরনের জাতীয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। কিন্তু জনস্থানে নারী ও মেয়েশিশুদের ওপর হয়রানি বন্ধে এসব আইন ও নীতিমালা যথেষ্ট নয়।

জনস্থানে ও গণপরিবহনে নারী ও কন্যাশিশুদের ওপর যৌন হয়রানি ও সহিংসতা নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নারীর জন্য আরও নিরাপদ ও স্বস্তিকর পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে।

চট্টগ্রামে জনস্থানে নারীর নিরাপত্তা শীর্ষক প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে ডিইসি ফাউন্ডেশনের এক গোলটেবিল সভায় বক্তারা এই আহ্বান জানান।

সোমবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এস রহমান মিলনায়তনে ডিইসি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই), ইয়াং বাংলা, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মানবাধিকার কর্মসূচি এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সহযোগিতায় মিডিয়া গোলটেবিল সভার আয়োজন করা হয়।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সোমেন কানুনগো। ফাউন্ডেশনের সদস্য শওকত আলীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের প্রধান উদ্যোক্তা ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (পরিকল্পনা) বিদ্যুৎ বড়ুয়া।

তিনি বলেন, সরকার নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে যা বিভিন্ন সময় দৃশ্যমান হয়েছে। তাছাড়া সাধারণ মানুষকে নারীর চলার পথ সুগম করতে এগিয়ে আসতে হবে। গণপরিবহনে নারীদের হয়রানি বন্ধে পরিবহনের অভ্যন্তরে দৃশ্যমান স্থানে গাড়ির নম্বর নিশ্চিত করতে হবে। এতে কেউ হয়রানির শিকার হলে দ্রুত নম্বর দেখে প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে পারবে।

ডিইসি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ২৮.২ এবং ৩৫ নম্বর অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রীয় ও জনজীবনের সব ক্ষেত্রে নারীর সমান অধিকার এবং চলাফেরার স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা-২০১১ অনুযায়ী শ্রমবাজার ও কর্মক্ষত্রে সমান অধিকারসহ সব ধরনের জাতীয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। কিন্তু জনস্থানে নারী ও মেয়েশিশুদের ওপর হয়রানি বন্ধে এসব আইন ও নীতিমালা যথেষ্ট নয়।জনস্থানে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট অংশীজনসহ তরুণ সমাজ ও নাগরিকদের দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনাই এই প্রচারাভিযানের অন্যতম লক্ষ্য।

রাউন্ড টেবিলে মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, জনসমাগম স্থল ও চলার পথকে নারীর জন্য নিরাপদ করতে আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। নারীর প্রতি সহিংসতা ও হয়রানি রোধে জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। একজন নারীর নিরাপত্তা ও চলার পথকে মসৃণ করতে হলে, তাকে অবশ্যই উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

এতে বক্তব্য রাখেন দৈনিক পূর্বকোণের প্রতিবেদক মরিয়ম জাহান মুন্নী, দৈনিক পূর্বদেশের আসহাব আরমান, বাংলানিউজ২৪-এর মিনহাজুল ইসলাম, ডেইলি অবজারভারের আশরাফুল ইসলাম রবিন, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের জোবায়ের চৌধুরী, ঢাকা পোস্টের কাজী মনজুরুল ইসলাম, নিউজবাংলার আবদুল্লাহ রাকীব, দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশের রিমন শাখওয়াত, সংবাদকর্মী মুজিবুল হক ও আকমাল হোসাইন।

সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই), ইয়াং বাংলা, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মানবাধিকার কর্মসূচি এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সহযোগিতায় এক বছর ধরে ১০টি যুব সংগঠন দেশের ১০টি জেলায় প্রচারাভিযানটি পরিচালনা করছে।

চট্টগ্রাম জেলায় ডিইসি ফাউন্ডেশন এই প্রচারাভিযানের মাধ্যমে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের সংগঠিত করে জেলা পর্যায়ে দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালার আয়োজনের মাধ্যমে যুব সংগঠন, সংবাদমাধ্যমকর্মী, স্থানীয় নাগরিক, পরিবহন খাত, শপিং মল ও হাটবাজারকে সম্পৃক্ত করে স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন অংশীজনের সভা আয়োজন করেছে।

এ বিভাগের আরো খবর