বিয়ে করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে নেত্রকোণার পূর্বধলায় যান বর। তবে বিয়েটি হয়নি; বউ ছাড়াই তাকে ফিরে যেতে হয়। দিয়ে আসতে হয় মুচলেকা।
কারণ কনে অপ্রাপ্তবয়স্ক; উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গিয়ে বিয়ে ভেঙে দেন।
এ ঘটনা ঘটেছে পূর্বধলার জে এম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে, শুক্রবার দুপুরে।
ইউএনও শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম জানান, বরের নাম মো. শাহজালাল। তার বিয়ে ঠিক হয় পূর্বধলার কান্দাপাড়া গ্রামের মেয়ের সঙ্গে। শুক্রবার দুপুরে ওই মাঠের পাশে ছিল বিয়ের আয়োজন।
বর হেলিকপ্টারে চড়ে আসবেন শুনে ওই মাঠে ভিড় করে উৎসুক গ্রামবাসী। নিরাপত্তার জন্য পুলিশও মোতায়েন করা হয়। লাল রঙের হেলিকপ্টারে করে বর আসেন।
তবে কনে অপ্রাপ্তবয়স্ক শুনে বিয়ের আসরে উপস্থিত হন ইউএনও, ওসি এবং পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল।
ইউএনও জানান, তিনি গিয়ে মেয়ের বয়স কত- প্রশ্ন করলে মা ১৮ বলে জানান। তখনই অনলাইনে জন্মনিবন্ধনের তথ্য যাচাই করে দেখেন, কনের বয়স ১৬।
ইউএনওর নির্দেশে বন্ধ করা হয় বিয়ে, মুচলেকা আদায় করে ছেড়ে দেয়া হয় বর-কনে ও তাদের অভিভাবকদের।
এরপর একাই হেলিকপ্টারে করে ফিরে যান বর শাহজালাল।