বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ট্রান্সজেন্ডারের সঙ্গে শিশু, ফাঁড়িতে হট্টগোল

  •    
  • ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০১:৪৮

জামালপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাওয়া একটি বাসে ছিলেন মনিকা হিজড়া নামে এক ট্রান্সজেন্ডার। তার সঙ্গে ছিল ১০ বছরের একটি মেয়ে। ট্রান্সজেন্ডারের সঙ্গে শিশু দেখে বাসযাত্রীদের সন্দেহ হয়। তাদের একজন ৯৯৯-এ কলও দেন। পুলিশ গিয়ে শিশুসহ মনিকাকে আটক করে।

টাঙ্গাইল শহরের এলজিইডি মোড়ের সদর পুলিশ ফাঁড়িতে হট্টগোল। ট্রান্সজেন্ডারদের একটি দল লাঠিসোঁটা নিয়ে হাজির। কয়েকজন ইট-পাটকেলও ছুড়ে মারেন। এতে ভেঙে পড়ে জানালার কিছু কাচ। তাদের বাধা দিতে গেলে কিঞ্চিত আহতও হন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. এরশাদ।

এ ঘটনা বুধবার সন্ধ্যার। আর এ হট্টগোল-হামলার কেন্দ্রবিন্দু এক শিশু।

পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক শামীম হোসেন নিউজবাংলাকে জানান ঘটনাটি।

তিনি বলেন, জামালপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাওয়া একটি বাসে ছিলেন মনিকা হিজড়া নামে এক ট্রান্সজেন্ডার। তার সঙ্গে ছিল ১০ বছরের একটি মেয়ে। ট্রান্সজেন্ডারের সঙ্গে শিশু দেখে বাসযাত্রীদের সন্দেহ হয়। তাদের একজন ৯৯৯-এ কলও দেন। বাসটি টাঙ্গাইল শহরের রাবনা বাইপাস মোড়ে পৌঁছালে শিশুসহ মনিকাকে আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায় পুলিশ।

শামীম জানান, জিজ্ঞাসাবাদে মনিকা দাবি করেন শিশুটি তারই। ট্রান্সজেন্ডার হওয়ার আগে তিনি ছিলেন মো. কামরুজ্জামান। তার বাড়ি জামালপুরের মেলান্দহে। ২০১০ সালে পারিবারিকভাবে একই উপজেলার পপি খাতুনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়, জন্ম নেয় তাদের মেয়ে।

মনিকা পুলিশকে জানান, মেয়ের জন্মের কিছুদিন পর থেকে তিনি নিজের শারীরিক পরিবর্তন টের পান। বিষয়টি বুঝতে পেরে স্ত্রী পপি তাকে ছেড়ে চাচাতো ভাইকে বিয়ে করে চলে যান। মেয়ে রয়ে যায় তার কাছেই। ২০১৮ সালে তিনি ট্রান্সজেন্ডারদের সঙ্গে চলাফেরা শুরু করেন। নিজের নাম পাল্টে রাখেন মনিকা হিজড়া। ঢাকায় উপার্জনের খোঁজে প্রায়ই আসেন।

মনিকা আরও জানান, গত শনিবার মেয়েকে ঢাকায় আনতে তিনি জামালপুর যান। বৃহস্পতিবার বাস থেকে তাকে আটক করে পুলিশ ফাঁড়িতে নেয়া হয় তাকে। খবর পেয়ে তার পরিচিত ট্রান্সজেন্ডাররা থানা ঘেরাও করে।

পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক শামীম নিউজবাংলাকে জানান, চামেলি হিজড়া নামের একজনের নেতৃত্বে ট্রান্সজেন্ডাররা সন্ধ্যায় ফাঁড়িতে হামলা চালায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ তিনজনকে আটকও করে।

তিনি আরও জানান, মনিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের পরিপ্রেক্ষিতে যোগাযোগ করা হয় তার সাবেক স্ত্রী পপি খাতুনের সঙ্গে। তিনি শিশুটিকে মনিকা ও তার মেয়ে বলে নিশ্চিত করেন। সব তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে মনিকা ও তার মেয়েকে ছেড়ে দেয়া হয়, তবে ফাঁড়িতে হামলার সময় আটক ৩ জনের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর