বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জৈব সারে মিলছে বিষমুক্ত সবজি

  • নীলফামারী থেকে নাগরিক সাংবাদিক অমিয় চক্রবর্তী   
  • ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ১১:৫২

কৃষক আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, ‘আগে শাক-সবজি, মাছের উচ্ছিষ্ট ফেলে দিতাম। এখন আর ফেলে দেই না। গর্ত করা আছে, সেখানে সব জমা করি। সেখানে পচে সার হয়। ওইগুলো ক্ষেতে দেই। বাড়িতে বীজ উৎপাদন করি। সেগুলো জমিতে লাগাই।’

‘২০১৭ সাল থেকে আমি বাড়িতে সার তৈরি করে তা দিয়ে ফসল ফলাই। শাক-সবজি থেকে শুরু করে ধান পর্যন্ত। জৈব সারে উৎপাদিত ফসলই আমার বাড়িতে রান্না হয়। এই সার তৈরি হয় বাড়ির উচ্ছিষ্ট থেকেই।’

বলছিলেন নীলফামারী সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের জয়চন্ডি এলাকার ইউনুস আলী।

সদর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনায় নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন কৃষক ইউনুস।

একই অনুষ্ঠানে কৃষক আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, ‘আগে শাক-সবজি, মাছের উচ্ছিষ্ট ফেলে দিতাম। এখন আর ফেলে দেই না। গর্ত করা আছে, সেখানে সব জমা করি। সেখানে পচে সার হয়। ওইগুলো ক্ষেতে দেই। বাড়িতে বীজ উৎপাদন করি। সেগুলো জমিতে লাগাই।’

তিনি বলেন, ‘বিষমুক্ত খাবার খাচ্ছে আমার পরিবার। ফলে পুষ্টি পাচ্ছি, প্রাকৃতিক খাবার গ্রহণ করতে পারছি। বাজারে জিনিস তো সব হাইব্রিড। সেগুলোতে আর মন চায় না।’

রিসার্স ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ আয়োজিত ডায়ালগে প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার বক্তব্য দেন।

আরও বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দীপক চক্রবর্তী, উপজেলা কৃষকলীগের আহ্বায়ক শফিয়ার রহমান, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি তপন কুমার রায়, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হুদাও।

শুধু ইউনুস ও আয়েশা নন, জয়চন্ডি গ্রামের ৬০ কৃষক এখন উৎপাদন করছেন বিষমুক্ত শাক-সবজি আর ফসল। ২০১৭ সাল থেকে প্রশিক্ষণ আর সহায়তা পেয়ে জৈবকৃষিতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন তারা।

কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, নিরাপদ সবজি বাগান করা হয়েছে প্রতি উপজেলায়। এখানে জৈব সারের ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। এসব বাগানের ফসল বিক্রি করা হচ্ছে। কৃষককে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে কৃষি বিভাগ।

তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি সম্মিলিতভাবে কৃষকদের উদ্ধুদ্ধ করে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন বাড়ানোর।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার বলেন, সময়ের সঙ্গে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে সরকার। কৃষি বিভাগ নিরাপদ ফসল উৎপাদনে নানা প্রক্রিয়া ব্যবহার করছে।

জেলায় সনাতন পদ্ধতিতে উৎপন্ন শাক-সবজি বিক্রির জন্য একটি উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর