আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালেবানের হাতে যাওয়ার পর থেকে সংগঠনটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের অভিযোগ উঠতে থাকে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে তালেবানের বিরুদ্ধে পাথর ছুড়ে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ করা হয়।
ভিডিওর ক্যাপশনে এক ব্যক্তি লেখেন, ‘সতর্কতা-অতি সংবেদনশীল। যারা তালেবানের বদল যাওয়ার কথা বলছেন, তারা আফগানিস্তানে এক ব্যক্তিকে পাথর ছুড়ে মারার ভয়াবহ ফুটেজটি দেখুন। তাদেরই (তালেবান) তোষণ করে যাচ্ছে (জো) বাইডেন প্রশাসন।’
ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছে ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি ফেক নিউজ ওয়ার রুম (এএফডব্লিউএ)।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভাইরাল হওয়া ফুটেজটি ২০১৮ সালের। ওই ভিডিওর ব্যক্তিটির বয়স ৬০ বছর, যাকে পাথর মেরে হত্যা করে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
এএফডব্লিউএ ভাইরাল ভিডিওটির রিভার্স সার্চিং কিফ্রেম ব্যবহার করে দেখেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কিছু ব্যবহারকারী ২০১৮ সালে এটি ছড়িয়েছে।
সম্প্রতি ভিডিওটি শেয়ার দিয়ে ফার্সি ভাষায় ক্যাপশনে একজন লেখেন, ‘আফগানিস্তানে ধর্ষণের অভিযোগে ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে পাথর ছুড়ে মারছে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিরা।’
ওই ক্যাপশন থেকে ক্লু পেয়ে ফার্সি ভাষায় কিছু কিওয়ার্ড সার্চ শুরু করে এএফডব্লিউএ। এসব কিওয়ার্ডের মাধ্যমে ফার্সি ভাষার সংবাদমাধ্যমে পাথর মেরে হত্যা সংক্রান্ত খবর খুঁজে পাওয়া যায়।
এসব খবরে জানানো হয়, পাথর ছুড়ে হত্যার এ আয়োজন করা হয় আফগানিস্তানের জওজান প্রদেশের দারজাব জেলায়। সেখানে ধর্ষণের অভিযোগে ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে পাথর মেরে হত্যা করা হয়।
ওই ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে জানান, দারজাব জেলার মঙ্গল গ্রামে বাড়ি ওই বৃদ্ধের। জানাজা ছাড়াই তার দাফন হয়।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির দিককার। ওই প্রতিবেদনসহ অন্য কিছু খবরের আলোকে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজটি কিছুদিন আগের কিংবা তালেবান সংশ্লিষ্ট নয়।