দেশের উন্নয়নে তারুণ্যের শক্তিকে যথাযতভাবে কাজে লাগাতে হবে বলে মনে করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল করিম। তিনি বলেন, চাকরির পেছনে না ছুটে তরুণদের উদ্যোক্তা হতে হবে, অংশ নিতে হবে সরকারের নানা প্রশিক্ষণে। তবেই তারা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে।
বেসরকারি সংস্থা অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ ও ধ্রুবতারা ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তরুণদের নিয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় একথা বলেন সচিব।
‘ডায়লগ উইথ পলিসিমেকারস-রিপ্রেজেনটেশন অফ ইয়াং পিপল ইন ডিসিশন মেকিং স্ট্রাকচার’ শীর্ষক এই সভা অনলাইন প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়েছে বুধবার রাতে। তাতে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম।
তিনি বলেন, ‘তরুণ সমাজ এগিয়ে আসলেই দেশের যে কোনো উন্নয়ন দ্রুত এগিয়ে যাবে। এ জন্য তরুণদের অংশগ্রহণ করা জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যুবকদের নিয়ে কোনো ডাটাবেজ নাই। ডাটাবেজ করতে পারলে কাজ আরও সহজ হবে। এই আলোচনায় উঠে আসা সুপারিশগুলো সরকারের কাছে তুলে ধরা হবে।’
সভায় উপস্থিত অন্য বক্তারা জানান, সরকারের যে কোনো উন্নয়ন কাজে তরুণদের দায়িত্ব দিলে ও সঠিকভাবে সেই দায়িত্ব তারা পালন করলে দেশ দ্রুতই অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাবে।
তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগাতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে নানা প্রশিক্ষণ ও ঋণের ব্যবস্থাও আছে বলে জানিয়েছেন সচিব আব্দুল করিম।
তিনি বলেন, ‘তরুণদের চাকরির পিছে ছোঁটা বন্ধ করে ভিশনারি হতে হবে। এই অর্থ যাদের প্রয়োজন এমন তরুণদের কাছে কমই পৌঁছেছে। পাশাপাশি যুবদের দেয়া প্রশিক্ষণগুলোতে এখনও সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়নি। এগুলো তরুণদের যথাযতভাবে ব্যবহার করতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) আব্দুল লতিফ মোল্লা বলেন, ‘তরুণদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাড়ানো হচ্ছে। তরুণরা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে খুব অল্প খরচে এমনকি বিনা খরচেও ট্রেনিং নিতে পারেন। আগামী দিনগুলোতে তরুণদেরও জন্য আরও প্রোজেক্ট প্রয়োজন রয়েছে।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের আবু মঞ্জুর সাইফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম এম আকাশ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহিন আনাম, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের যুব প্রকল্প বিষয়ক ব্যস্থাপক নাজমুল আহসানসহ অনেকে।