আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালেবানের দখলে যাওয়ার পর হাজার হাজার ভীত আফগান কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিড় করে।
তালেবান শাসনের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালাতে মরিয়া এসব সাধারণ মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এরই মধ্যে লাখের কাছাকাছি আফগানকে দেশ ছাড়তে সহযোগিতা করেছে।
১৫ আগস্ট শত শত মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিমান সি-১৭-এর মেঝেতে গাদাগাদি করে বসে কাবুল থেকে কাতারের উদ্দেশে যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হৃদয়বিদারক ওই ছবি বেশ ভাইরাল হয়।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের ছবি বেশ ভাইরাল হয়েছে। এতে বলা হয়, শত শত মানুষ নিয়ে কাবুল ছেড়ে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সি-১৭ বিমানটির পাইলট এই ব্যক্তি।
ছবির শিরোনামে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পাইলট মারকাস ওয়েসগারবার মাত্র এক ট্রিপে ৭৬০ আফগান নাগরিকের জীবন বাঁচিয়েছেন। তাকে স্যালুট জানাই।’
ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি ফেইক নিউজ ওয়্যার রুম (এএফডব্লিউএ) সাম্প্রতিক ছবির দাবি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, ভাইরাল ছবিটির ব্যক্তি আসলেই মারকাস ওয়েসগারবার। তবে তিনি পাইলট নন।
ওয়াশিংটন ডিসির বাসিন্দা মারকাস যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তাবিষয়ক সাংবাদিক।
আরও অনুসন্ধানে মারকাসের টুইটার অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া যায়। টুইটার বায়োতে মারকাস নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নিউজ পোর্টাল ডিফেন্স ওয়ানের গ্লোবাল বিজনেস এডিটর হিসেবে পরিচয় দেন।
মূলত প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত খবর প্রকাশ করে ডিফেন্স ওয়ান।
১৭ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের আরসিএইচ ৮৭১ সামরিক বিমানে চড়া আফগানদের একটি ছবিও টুইট করেন মারকাস।
আফগানিস্তান থেকে উদ্ধার অভিযানসংক্রান্ত প্রতিবেদন ডিফেন্স ওয়ানে প্রকাশ করেন মারকাস ও আরেক সাংবাদিক ট্যারা কোপ।
২০ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের সি-১৭ বিমানটির ক্রুদের নিয়ে বিশেষ সাক্ষাৎকার নেয় সিএনএন।
সাক্ষাৎকারে বলা হয়, সি-১৭ বিমানে ক্রু হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উদ্ধার অভিযানের অনুমোদন দেয়া লেফটেন্যান্ট কর্নেল ও সি-১৭ কমান্ডার এরিক কুট, টেকনিক্যাল সার্জেন্ট জাস্টিন ট্রিওলা ও এয়ারম্যান ফার্স্ট ক্লাস নিকোলাস ব্যারন।
এ ছাড়া রয়েছেন ক্যাপ্টেন কোরি জ্যাকসন, ফার্স্ট লেফটেন্যান্ট মার্ক লসন, স্টাফ সার্জেন্ট ডেরেক লরেন্ট ও সিনিয়র এয়ারম্যান রিচার্ড জনসন।
সি-১৭ বিমানটির ক্রুদের তালিকায় মারকাস ওয়েসগারবার নামে কেউ ছিলেন না।
সাক্ষাৎকারে সি-১৭ বিমানের ক্রুরা সিএনএনকে জানান, বিমানটিতে ৬৪০ যাত্রী নয়। নারী-শিশু মিলে ৮২৩ আফগানকে নিয়ে ওই দিন কাবুল ছাড়েন তারা।