মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও বীর প্রতীক ফারুক-ই-আজম বলেছেন, দেশের বৈষম্য ও অধিকার বঞ্চনার আগ্রাসন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সেইফ এক্সিট অত্যন্ত জরুরি। আমরা যুদ্ধ করেছি এই দেশের জন্য এখানেই আমাদের থাকতে হবে এবং বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে। দেশ ছেড়ে যাওয়ার কোনো পথ নেই। আমাদের লড়াই হবে এখানেই, দেশের মাটিতেই। রোববার দুপুরে বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে উদ্বোধন করা হয় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্প। অনুষ্ঠানে ফারুক-ই-আজম বলেন, বৈষম্য ও অধিকার বঞ্চনার আগ্রাসন বন্ধ করতে হলে সবার জন্য সমান ও নিরাপদ সুযোগ থাকা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘দেশের শিশুদের টাইফয়েড থেকে সুরক্ষা দিতে আজ (রোববার) থেকে এক মাসব্যাপী টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সরকার ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সি প্রায় পাঁচ কোটি শিশু-কিশোর-কিশোরীকে বিনামূল্যে টিকা দেবে। জন্ম সনদহীন শিশুরাও এই টিকার আওতায় থাকবে।
বরিশালে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। তিনি জনগণকে রোগ হওয়ার আগেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
বরিশাল জেলায় টিকাদানের মোট লক্ষ্যমাত্রা ৬ লাখ ১ হাজার ১২৫ জন, বরিশাল মহানগরীতে ৯৭,৫৯০ জন। জেলার ৪,২৭৫টি কেন্দ্র থেকে কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ইতোমধ্যেই ১ লাখ ৫২,৭১৫ জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন, যার মধ্যে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সি শিশুরাও অন্তর্ভুক্ত।
প্রথম ডোজে ৪ থেকে ৭ বছর বয়সিদের জন্য প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, এবং আগামী ১ থেকে ১৩ নভেম্বর সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে টিকাদান কার্যক্রম চলবে। সরকারের লক্ষ্য, পথশিশুসহ কেউই এই সুযোগ থেকে বাদ যাবে না।