উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসকের নির্দেশ অমান্য করে যশোরের কেশবপুর পৌরসভার বায়সা নুরপুর সড়কের জমি দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করার পর অবশেষে বৃহস্পতিবার ভেঙে দিয়েছে জনতা। রবিউল ইসলাম ক্ষমতাবলে সড়কের জমি দখল করে সেখানে জোরপূর্বক প্রাচীরটি নির্মাণ করছিল। এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর পৌর প্রশাসক সড়কের ওপর প্রাচীর নির্মাণ না করতে তাকে নোটিশ দেয়। ওই নোটিশ পেয়েও রবিউল ইসলাম কাজ অব্যাহত রাখে। পরে বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন। এ সময় মহল্লাবাসী সড়কের ওপর নির্মাণ করা ওই অবৈধ প্রাচীর ভেঙে দেয়। পৌর শহরের রবিউল ইসলাম সম্প্রতি পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ও আলিয়া মাদ্রাসার পাশে জনৈক মাস্টার আমিনুল ইসলামের নিকট থেকে প্রায় এক কোটি টাকায় ওই বাড়িটি ক্রয় করেন। এরপর ওই বাড়ির সামনে সড়কের জমি দখল করে সেখানে ওই নির্মাণকাজ করছিল।
কেশবপুর বাজারের বেসরকারি হাসপাতালের হেলথকেয়ার সেন্টারের অ্যাম্বুলেন্সচালক রবিউল ইসলাম গত ১২ বছরে অবৈধ উপায়ে প্রায় শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন অবৈধ উপায়ে কেশবপুর সরকারি হাসপাতালের সামনে মডার্ন ক্লিনিক স্থাপন, হাসপাতালের পাশে মূল্যবান জমিক্রয় করে সেখানে ৫ তলা বাড়ি নির্মাণ, কেন্দ্রীয় ঈহগাহের পাশে ৩ তলা বাড়ি ক্রয়, ঢাকায় ফ্ল্যাটক্রয়, প্রাইভেট, মাইক্রোবাস ক্রয়সহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। মডার্ন ক্লিনিকের মালিক রবিউল ইসলাম গত ৫ আগস্টের পর, স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার ছত্র-ছায়ায় আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেন। গত ১২ বছর আগের দিন মজুর রবিউল ইসলামের আয়ের উৎসহের ব্যাপারে তদন্ত দাবি করেছেন কেশবপুরবাসী।
রবিউল ইসলাম বলেন, পৌরসভা থেকে নোটিশ দেওয়ার পর পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে কাজ অব্যাহত রাখি। এরপর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শরীফ নেওয়াজ ঘটনাস্থলে যান। এ সময় আমাকে না পেয়ে তিনি আমাকে ফোন দিয়ে কাজ বন্ধ রেখে জমি মেপে প্রাচীর নির্মাণ করতে বলেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শরীফ নেওয়াজ বলেন, জনৈক রবিউল ইসলাম সড়কের জায়গা দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করছিল। এ ব্যাপারে তাকে নোটিশ দেওয়া হয় এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কাজ বন্ধ করতে বলা হলেও তিনি তা অমান্য করে নির্মাণকাজ অব্যাহত রাখেন। পরবর্তিতে জনতা তা ভেঙে দিয়েছেন।