বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেছেন, আগামীর মানবিক বাংলাদেশ গঠনে পিআর পদ্ধতি একটি অপরিহার্য নির্বাচন ব্যবস্থা। আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ইতোমধ্যে মধ্যে ২৬টি দল পিআর পদ্ধতির পক্ষে মত দিয়েছে। বাংলাদেশে রাজনীতিতে বিভাজন নয়, ঐক্য প্রয়োজন। সব রাজনৈতিক দল এই যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হবে। গত বুধবার রাতে নগরীর টমছমব্রিজ এলাকায় একটি পার্টি সেন্টারে কুমিল্লা মহানগর জামায়াত আয়োজিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ ও পিআর পদ্ধতির ভিত্তিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আমির অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহজাহান এবং কুমিল্লা উত্তর জেলা আমির অধ্যাপক আব্দুল মতিন।
মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ১৯৮১ সালের ১৫ নভেম্বর বিচারপতি আবদুস সাত্তার প্রেসিডেন্ট হলেন। কিন্তু এর কয়েক মাস পরেই এরশাদ ক্ষমতা দখল করলেন। এখন কোনো কোনো দল পিআরের বিপক্ষে বোঝাতে চায় নেপালের মতো আমাদের অবস্থা হবে। প্রেসিডেন্ট তো আপনাদের ছিল। আবদুস সাত্তার নির্বাচিত হওয়ার চার মাস পর এরশাদ তাকে জিম্মি করে ২৪ মার্চ ক্ষমতা দখল করলেন। এরপর ভোটার ছাড়া নির্বাচন করল। দিনের নির্বাচন রাতে করল। এরপর ডামি নির্বাচন করল। এই জন্যই আমরা অনেক চিন্তা করেই পিআর পদ্ধতি থ্রো করেছি।
এ সময় কুমিল্লা মহানগরের নায়েবে আমীর অধ্যাপক একেএম এমদাদুল হক মামুন, মহানগরী সেক্রেটারি মাওলানা মাহবুবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি কামারুজ্জামান সোহেল, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসাইনসহ দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।