বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তিস্তার পানি কমলেও ভাঙন আতঙ্কে গঙ্গাচড়ার মানুষ

  • গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি   
  • ৭ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:০৯

তিস্তা নদীর পানি কমলেও গঙ্গাচড়া উপজেলার চর এলাকায় বন্যার ক্ষতচিহ্ন এখনো চোখে পড়ছে। হঠাৎ বেড়ে যাওয়া পানি ও উজানের ঢলে নদীর তীরবর্তী এলাকা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে দ্বিতীয় তিস্তা সেতুর রক্ষা বাঁধে প্রায় ৩০০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে সেতু ও রংপুর-লালমনিরহাট আঞ্চলিক সড়ক প্রতিদিন যাতায়াত করা ৩০-৩৫ হাজার মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। প্রায় ৯০০ মিটার দীর্ঘ সেতুর রক্ষা বাঁধের ক্ষতি চলতে থাকে ১১ আগস্ট থেকে। প্রথমে ৬০ মিটার অংশ ধসে ৭০ ফুট গভীর গর্ত তৈরি হয়। সময়মতো সংস্কার না হওয়ায় ধস বৃদ্ধি পায়। ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০০ মিটার বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয় এবং ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সেই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৩০০ মিটার।

নোহালী ইউনিয়নের চর বাগডহরা গ্রামের মধ্য চর বড়াইবাড়ী খেয়াঘাট সংলগ্ন মন্টু মিয়ার বাড়ির সামনে নদীভাঙন ঘটছে। এছাড়া মিনা বাজার সংলগ্ন আব্দুল হান্নানসহ কয়েকজনের জমিও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। একই সঙ্গে মিনা বাজার থেকে বড়াইবাড়ী খেয়াঘাট পর্যন্ত নির্মিত বাঁধের মাথাও ভাঙা শুরু হয়েছে। কাঁচারাস্তা ও ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

উপজেলা এলজিইডি শাহ মো. ওবায়দুল রহমান জানান, সেতু রক্ষা বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশের বিষয়ে আমরা বিস্তারিত প্রতিবেদন ঢাকায় পাঠিয়েছি। অনুমোদন মিললেই দ্রুত সংস্কারকাজ শুরু করা হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে প্রায় ২০ হেক্টর আমন ধান, ১ হেক্টর মাসকালাই, ২ হেক্টর বীজবাদাম এবং ০.৫ হেক্টর সবজি পানিতে তলিয়ে গেছে।

গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা জানিয়েছেন, উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টির কারণে পানি হঠাৎ বেড়ে গিয়েছিল। এখন ধীরে ধীরে পানি কমছে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে পরিস্থিতি আরও নিয়ন্ত্রণে আসবে।

গত সোমবার বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের সহযোগিতায় ২০ মেট্রিক টন চাল ও দুই লাখ টাকা নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর