গাজীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহ রিয়াজুল হান্নান বলেছেন, শারদীয় দুর্গোৎসবে বাংলাদেশে সব সময়ই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় ছিল। পূজাকে ঘিরে কাপাসিয়া উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ। প্রতিটি মণ্ডপে চলছে দেবী দুর্গার বন্দনা, ভক্ত-শুভানুধ্যায়ী ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত চারপাশ। বিএনপি বরাবরই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের যেকোনো আচার অনুষ্ঠানে তাদের পাশে ছিল, আগামী দিনেও আন্তরিকভাবে থাকবে।
তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে গত মঙ্গলবার রাতে কাপাসিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন। তিনি গভীর রাত পর্যন্ত কাপাসিয়া সদর বাজারের যুব ব্যবসায়ী পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত পূজামণ্ডপ, কাপাসিয়া বাজারের হরি বাড়ি মন্দির ও জয়কালী মন্দিরে অনুষ্ঠিত পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন।
এছাড়া উপজেলা বিএনপির নেতারা প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ের বিভিন্ন পূজামণ্ডপে উপস্থিত হয়ে পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের সাথে মতবিনিময় করছেন। নেতারা পূজারিদের সাথে তাদের নিরাপত্তা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখেন এবং সবাইকে শুভেচ্ছা জানান।
পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি আরো বলেন, ‘দুর্গাপূজা শুধুমাত্র সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসব নয়, বাংলাদেশ একটি শতভাগ অসাম্প্রদায়িক দেশ। এখানে আমরা বহুকাল যাবত সবাই মিলেমিশে বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির উৎসব পালন করি। এটি বাংলা ভাষাভাষীর হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের প্রতীক। দুর্গোৎসবের মাধ্যমে অশুভ শক্তির ধ্বংস ও মঙ্গলের জয়গান সবাই মিলে করি। ‘সব ধর্মেই ভালোর কথা বলা হয়েছে, দুর্গাপূজা আমাদের শিখায়- অশুভ, হানাহানি ও বিভেদ দূর করে ঐক্য, সত্য ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতের মাধ্যমে একটি আধুনিক ও আদর্শ প্রতিনিধিত্বশীল সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
এবছর কাপাসিয়ায় ৭০টি মণ্ডপে উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপিত হচ্ছে। পরিদর্শনের সময় পূজারীদের বিভিন্ন দাবি পূরণে আন্তরিকতার সাথে আশ্বাস দেন।
এ সময় পূজারীদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বাবু চিত্ত রঞ্জন সাহা, জয়কালী মন্দির পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি সাংবাদিক সঞ্জীব কুমার দাস, কোষাধ্যক্ষ চন্দন কুমার রক্ষিত, উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ চন্দ্র পাল প্রমুখ।