আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও বিগ ডাটা অ্যানালিটিক্স এবং জলবায়ু পরিবর্তন, রিমোট সেন্সিং ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিশ্ব খ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক (কিউনি) এবং সিটি কলেজ অব নিউইয়র্ক (সিসিএনওয়াইর) সাথে কাজ করবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের অনলাইন ট্রেনিং প্রোগ্রাম, জয়েন্ট ডিগ্রি প্রোগ্রাম, বিভিন্ন ধরনের গবেষণা এবং ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের যৌথ এক্সপোজার সফর নিয়ে কাজ করবে দুই বিশ্ববিদ্যালয়।
যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে সম্প্রতি সিটি কলেজ অব নিউইয়র্কের প্রেসিডেন্ট ভিনসেন্ট বউড্রেউর সাথে এসব বিষয়ে যৌথ অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। এ সময় সিটি কলেজ অব নিউইয়র্কের প্রেসিডেন্ট, ডিন ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রফেসর আমানুল্লাহ বলেন, দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উদ্যোগ ভূগোল, পরিবেশ বিজ্ঞান ও জনস্বাস্থ্য বিভাগ এবং বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণার সুযোগ তৈরি করবে।
বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা নিয়ে সিটি কলেজ অব নিউইয়র্ক কর্তৃপক্ষের আগ্রহের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এই যৌথ অংশীদারিত্ব শুধু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নয় বাংলাদেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্যও ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর বলেন, উচ্চশিক্ষায় প্রচুর বিনিয়োগ লাগে, যা সরকারের পক্ষে বহন করা কঠিন। তাই উচ্চশিক্ষায় বিনিয়োগে সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সাবেক শিক্ষার্থীদের অ্যালামনাই এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি জানান, সিটি কলেজ অব নিউইয়র্কের সাবেক শিক্ষার্থীরা প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার বা ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে কলেজের পদার্থবিজ্ঞান ল্যাব সংস্কার করেছে। সেখানে এখন ফোটন নিয়ে গবেষণা চলছে।
প্রফেসর আমানুল্লাহ বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য সাবেক শিক্ষার্থী বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছেন। তাদের সবাইকে একত্র করতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এটি আলোর মুখ দেখবে। এই সংগঠন ভবিষ্যতে দেশের উচ্চশিক্ষায় বড় অবদান রাখবে বলে আশা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের।