বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চিকিৎসক সংকটে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

  • নাসির উদ্দিন শাহ মিলন, নীলফামারী   
  • ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:৪০

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মক সংকটে পড়েছে। প্রায় ৩ লাখ ১৬ হাজার মানুষের জন্য ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ৬ জন চিকিৎসক। ফলে প্রতিদিন অসংখ্য রোগীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ২০১০ সালে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও দীর্ঘ ১৪ বছরেও কাঙ্খিত চিকিৎসক নিয়োগ হয়নি।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা গেছে, এখানে মোট ৩২টি চিকিৎসক পদ অনুমোদিত থাকলেও বর্তমানে রয়েছেন একজন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএন্ডএফপিও), একজন আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ও চারজন মেডিকেল অফিসার। বিশাল জনসংখ্যার তুলনায় এই সংখ্যা অত্যন্ত অপ্রতুল।

রোগী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ, নিয়ম অনুযায়ী বহির্বিভাগ সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে দুপুর ১টার পর ডাক্তার পাওয়া যায় না। ভর্তি রোগীদেরও নিয়মিত সেবা দেওয়া হয় না। হাসপাতালের ঔষধ সরবরাহ পর্যাপ্ত নয়, ফলে রোগীদের ওষুধ বাহির থেকে কিনতে হয়। বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটর থাকে না।

ডিমলার সদর এলাকার বাসিন্দা ইলিয়াস হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,“এত বড় এলাকার জন্য যদি মাত্র কয়েকজন ডাক্তার থাকেন, তাহলে আমরা যাব কোথায়? চিকিৎসা নিতে এসে শুধু হয়রানি আর অবহেলা পাচ্ছি।”

রোগীর স্বজন মকবুল ইসলাম জানান, চিকিৎসক সংকটের কারণে অনেক সময় ইমারজেন্সি সেবা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। জায়গার অভাবে রোগীদের মেঝে কিংবা বারান্দায় শুয়ে থাকতে হয়, অনেকে আবার চিকিৎসা না পেয়ে ফিরেও যান।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন,“এখানে চিকিৎসক, জনবল ও ওষুধের সংকট রয়েছে। তারপরও আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার।”

জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন,“৪৮ তম বিসিএসের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এখান থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক দ্রত সময়ের মধ্যে পদায়ন করা হবে।”

এ বিভাগের আরো খবর