ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ইউসুব আলী বলেছেন, সাজিদ হত্যার তদন্তভার কোনো সংস্থার হাতে হস্তান্তর করা হয়নি। মামলাটি এখনো হেডকোয়ার্টারে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। কোনো শক্তির কারণে এই মামলাটি এখনো তদন্তকারী সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়নি এটা আমরা জানতে চাই। ছাত্র-সমাজ জানতে চায় কেন তারা এখনো কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছে না। যুগোপযোগী একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস করার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ দফা সংবলিত ১১০ প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। কিছু প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন করলেও সিংহভাগ শিক্ষার্থীবান্ধব প্রস্তাবনা এখনো বাস্তবায়ন করেনি।
সোমবার দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে শিক্ষার্থী সাজিদ হত্যার তদন্ত ও বিচার অতিদ্রুত নিশ্চিত করা এবং ২৪ দফা দাবি বাস্তবায়নের মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ইউসুব আলী বলেন, জুলাই শহিদদের রক্তের ওপর দিয়ে যে প্রশাসন এসেছে তাদের কাছে প্রত্যাশা ছিল শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করবে এবং শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়বে কিন্তু আমরা পেয়েছি সাজিদের লাশ। সাজিদ হত্যার বিচার দ্রুত সময়ের মধ্যে করতে হবে। আগামী ২ দিনের মধ্যে তদন্ত সংস্থার কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে এবং বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন কাজে নিযুক্ত শ্রমিকরা বহিরাগতদের আক্রমণের শিকার হয়েছে। প্রশাসন সেখানে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আগামীতে আমরা এমন আক্রমণে শিকার হব না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। প্রশাসনকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং আমাদের অন্যান্য দাবিুগুলো পূরণ করতে হবে যার ফলাফল হিসেবে শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়া সম্ভব হবে। অন্যথায় প্রশাসনিক পদে আপনাদের থাকার কোনো প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, আমাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনার মধ্যে ছিল ইকসু গঠন। বর্তমানে কমিটি গঠন করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো বাস্তব পদক্ষেপ দৃশ্যমান হয়নি। এখন পর্যন্ত সামাজিক সংগঠন বা কোনো শিক্ষার্থীকে নিয়ে একবারও বসা হয়নি। এ রকম টালবাহানা করলে প্রশাসনের পদ থেকে বিতাড়িত করতে বাধ্য হব।