নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাসরিন আক্তার।
ইউএনওর এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ফলে আনন্দের সঙ্গে বিদ্যালয়ে এসে অধ্যয়ন করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
শুধু তাই নয়, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের পুনরায় স্কুলমুখী করতে মিড ডে মিল, শিক্ষা উপকরণ বিতরণসহ নানা আয়োজন করেন তিনি। এতে অভিভাবক ও স্থানীয়রা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সম্প্রতি ইউএনও নাসরিন ডাক্তারের উদ্যোগে গান্ধী আশ্রমের অর্থায়নে সোনাইমুড়ী উপজেলা ৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিড-ডে মিল কার্যক্রম চালু করা হয়। উপজেলার শিলমুদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাসানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দেওটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিড-ডে মিল কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন আকতার।
গত ১৯আগস্ট সোনাইমুড়ী উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অসহায় দারিদ্র্য ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন তিনি। নওয়াবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা উপকরণ বিতরণের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক (ডিসি) খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ। উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪০০জন ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে শিক্ষা উপকরণ স্কুল ব্যাগ, টিফিন বক্স ও জ্যামিতির বক্স বিতরণ করা হয়। উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসায় একইদিন ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। সোনাইমুড়ী উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন একাডেমিতে গত ১৯শে আগস্ট ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ উদ্বোধন করা হয়। উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের ২৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্রিকেট সেট, ফুটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, ক্যারামবোর্ড, দাবাসহ ও টেবিল টেনিসসহ ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার।
সোনাইমুড়ীর প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উপজেলার তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিড ডে মিল চালু হওয়ায় শিক্ষকরা আনন্দিত। এতে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলমুখী হবে। না খেয়ে অনেক দরিদ্র্য শিক্ষার্থী স্কুলে চলে আসে। স্কুলে খাবার পাবে এ আশায় উপস্থিতি বেড়েছে। নতুন শিক্ষা উপকরণ পেয়েও তারা আনন্দিত। এ উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার।
সোনাইমুড়ী উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মহিউদ্দিন জানান, এ ধরনের উদ্যোগ ব্যতিক্রমী। ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে এ ধরনের আয়োজন করা হয়েছে। তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এলাকার অসহায় ও হতদরিদ্ররা স্কুলে আসছে। এতে উপস্থিতিও বাড়ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার বলেন, বিদ্যালয় গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি কম দেখে এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি এই এলাকার অন্যান্য স্কুলেও এ ধরনের কার্যক্রম চালু করবেন।