সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় অতিবৃষ্টির কারণে এ বছর গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে লোকসানের মুখে পড়তে পারেন কৃষকরা। তবে গত কয়েক বছর এই চাষে সফলতা পেয়েছেন স্থানীয় চাষিরা।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার বালিয়াদহা, তেঁতুলিয়া ও ভায়ড়া গ্রামে কৃষকের ক্ষেতে মাচায় ঝুলছে শত শত তরমুজ। মধুমালা, ব্ল্যাক বেরি, কানিয়া (বাংলালিঙ্ক) জাতের এসব তরমুজের কোনোটি বাজারজাতের উপযোগী হয়েছে, আবার কোনোটি এখনো পরিপক্ব হয়নি। খেতেও এগুলো সুস্বাদু বলে জানান চাষিরা।
বালিয়াদহা গ্রামের তরমুজ চাষি মুনছুর গল্দার জানান, ৯৫ টি তরমুজের মান্দা আছে তার। প্রতিটি মান্দায় দুইটি তরমুজের গাছ আছে। দুইশ হাত মৎস্য ঘেরের আইলে তিনি তরমুজ চাষ করেছেন। এক একটি তরমুজ ৬ থেকে ৭কেজি করে হয়েছে।
প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করছেন। মৎস্য চাষের পাশাপাশি তরমুজ চাষাবাদ করে তিনি লাভবান হচ্ছেন।
তেঁতুলিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্না বিশ্বাস জানান, তিনি কয়েক বছর ধরে তরমুজ চাষ করে আসছেন এবং আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। এ বছর তিনি ৮ শতক জমিতে চার জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। এতে তার প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সাধারণত তিনি প্রতি মৌসুমে লাভবান হলেও এ বছর অতিবৃষ্টির কারণে তরমুজ গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তেমন লাভ হবে না বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন।
চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, ধান ও পাট উঠতে চার মাসের বেশি সময় লাগে। কিন্তু তরমুজ মাত্র ৬০ থেকে ৭০ দিনের মধ্যে বিক্রির উপযোগী হয়। এজন্য তরমুজ চাষ করে আমরা উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছি।
তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন জানান, গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে প্রচুর লাভের সম্ভাবনা থাকায় এটি চাষের জন্য কৃষকেরা আগ্রহী। এ বছর উপজেলায় ৩হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ হয়েছে। বৃষ্টির কারণে কিছু ক্ষতির আশঙ্কা থাকলেও কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। ফলে প্রতি বছর আবাদের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।