বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গঙ্গাচড়ায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

  • গঙ্গাচড়া প্রতিনিধি   
  • ১৯ আগস্ট, ২০২৫ ২১:১০

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বঞ্চিত প্রার্থীদের দাবি, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের যোগসাজশে রাজনৈতিক প্রভাব ও আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে ডিলার নির্বাচন করা হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৩৩ জন ডিলার নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে চিত্র ভিন্ন। মোট ২০৩ জন আবেদনকারীর মধ্যে ২১ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। মাত্র চারটি কেন্দ্রে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন চারজন। বাকি আটটি কেন্দ্র শূন্য রাখা হয়েছে। এতে ৩৩টি কেন্দ্রের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হলেও ৮টি পদ শূন্য রয়ে গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, ১৮ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ফলাফল প্রকাশের কথা থাকলেও তার আগেই ফল ফাঁস হয়ে যায়। এতে নিয়োগ নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে বলে দাবি করেন বঞ্চিত আবেদনকারীরা। ১৮ আগস্ট দুপুরে চারটি কেন্দ্রে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হন, চৌধুরীহাট কেন্দ্র: মো. আমির আলী, ঠাকুদহ বাজার কেন্দ্র: শাহিন আলম, নোহালী ইউনিয়নের বাগডোগরা কেন্দ্র: মশিউর রহমান (পিতা: সৈয়দ আলী), বড়াইবাড়ি হাট কেন্দ্র: সামসুল আরেফিন।

বঞ্চিত প্রার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, যে টাকা দিতে পেরেছে, তারাই নির্বাচিত হয়েছে। তারা দাবি করেন, নীতিমালা উপেক্ষা করে রাজনৈতিক বিবেচনায় এবং আর্থিক লেনদেনের ভিত্তিতে ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা না থাকলে ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণ হতে পারে।

প্রার্থী মো. নূরুজ্জ্জামানসহ কয়েকজন আবেদনকারী লটারি অনুষ্ঠানের আগেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়,বিভাগীয় কমিশনার, বিভাগীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রক, রংপুর জেলা প্রশাসক এর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তারা দ্রুত তদন্ত করে দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা উম্মে কুলসুমা খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি অফিসে পাওয়া যাননি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে প্রথমে ফোন কেটে দেন এবং পরবর্তীতে বন্ধ রাখেন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, যদি অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে দেখবে।

এ বিভাগের আরো খবর