বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জনবান্ধব সেবায় বদলে গেছে মাধবপুর উপজেলা ভূমি অফিস

  • সানাউল হক চৌধুরী, মাধবপুর প্রতিনিধি   
  • ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ২১:৫৮

হবিগঞ্জে মাধবপুর উপজেলা ভূমি অফিস এখন নতুন রূপে বদলে গেছে। নেই এখন দালালদের তেমন উৎপাত। জমির নামজারি, মিচ মামলা, তদন্ত, দাগ নম্বর সংশোধনসহ জমি সংক্রান্ত ভিবিন্ন কাজে মাসের পর মাস ঘুরতে হয় না। নেই তেমন কোন হয়রানি। নেই দালালের দৌরাত্ম।

উৎকোচ না দিলে ফাইল নড়ে না এমন চিত্র অনেকটা এই ভূমি অফিসে নিয়ন্তনে এসেছে এমন মন্তব্য সেবা প্রার্থীদের । এক সময় ভূমি অফিসের নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে সাধারণ মানুষ ভূমি অফিসে আসতে ভয় পেত। আর দালালদের উৎপাত ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু এখন দালালদের উৎপাত তেমন একটা চোখে পরেনি। সাধারণ মানুষ যে কোনো অভিযোগ দিতে সরাসরি সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: মুজিবুল ইসলামের কাছে আসেন এবং নিজেদের অভাব অভিযোগের কথা নিজেরাই কর্মকর্তার কাছে জানিয়ে প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহন করছেন। এতে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে ভূমি অফিসে খোলা হয়েছে সেবা সহায়তা কেন্দ্র, সুবিন্যস্ত রেকর্ড রুম, তথ্য বাতায়ন, সিটিজোন চার্টার, ওয়েটিং রুম, ডিজিটাল সাইনবোর্ড, শুনানির মাধ্যমে জবাবদিহিতাসহ তৃণমূলে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ভূমি সেবা। রেকর্ড রুম সুন্দর ভাবে বছর ওয়ারী সাজানো হয়েছে। আগে অতীতের কোন তথ্য উপাত্ত বা মামলার নথিপত্র দেখতে অনেক সময় লেগে যেত। নথি পেতে টাকা লাগতো। এখন আবেদন করলেই ফ্রিতে সমস্ত নথিপত্রের কাগজ পেয়ে যাচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা।

সহকারী কমিশনার (ভূমি)মুজিবুর ইসলাম গত ১২/০১/২০২৫ইং তারিখে যোগদান করেন। মাধবপুরে। যোগ দানকালে পেন্ডিং নামজারি ছিল৷ ১হাজার৪শত ৪০টি কিন্তুু গত অর্থবছরে মোট নিষ্পত্তি করেছেন ১হাজার ৩শ ৬৫ টি। বর্তমানে পেন্ডিং ৬শ ৯০টি নামজারি নিষ্পত্তির স্বাভাবিক সময় ২৮ দিন, মাধবপুর উপজেলায় ভূমি অফিসে বর্তমানে গড় নিষ্পত্তি ২০ দিন। গড়ে প্রায় প্রতি কর্ম দিবসে ৮০ থেকে১০০টি নামজারি নিষ্পত্তি করেন।

আসাদুজ্জামান ও আশিক মিয়া দুই সেবা গ্রহন কারী জানান মো: মুজিবুল ইসলাম

স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্য দিয়ে অফিসের সব কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এতে করে উপজেলা ভূমি অফিসে বৃদ্ধি পেয়েছে সেবার মান। সেবা পেয়ে ভূক্তভোগী জনসাধারণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, বিভিন্ন সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সরকারি খাস জমি ও নদীর জমি উদ্ধার, নদী থেকে ড্রেজার বসিয়ে বালি উত্তোলন বন্ধ, অপরিছন্ন হোটেল এবং সরকারি খাল দখলসহ নানা বিষয়ে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের দণ্ড ও সেবামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুজিবুল ইসলাম বলেন, দৈনিক বাংলা কে জানান হবিগন্জ জেলা প্রশাসক স্যারের দিক নির্দেশনায় আমাদের অফিসে আসা সকলের জন্য জনবান্ধব জনসেবা নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। একজন মানুষও যাতে ভোগান্তির স্বীকার না হয় সেজন্য আমরা সর্বদা তৎপর রয়েছি। তিনি আরও বলেন, ‘আইনগত কারণে বিভিন্ন সময় সকল মানুষকে সকল সেবা প্রদান করা সম্ভব হয় না। তারপরও আমরা সব সময় চেষ্টা করি সর্বোচ্চ সেবা দিতে। কর্ণফুলী উপজেলায় ভূমি নিয়ে ভূক্তভোগী মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছি। যাতে মাননীয় ভূমিমন্ত্রীর নেওয়া সকল পদক্ষেপের সুফল জনগণ ঘরে বসেই পায়।’

এ বিভাগের আরো খবর