ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি আবারও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার সকাল ৬টা থেকে তিস্তা নদীর পানি নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও বৃহস্পতিবার ১৪ই আগষ্ট সকাল ৯টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (পানি সমতল) ৫২.৩০ সেন্টিমিটার।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম জানান বুধবার ভোর থেকে ৩য় দফায় তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করে। বুধবার সকাল ৬টায় তিস্তার পানি ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েটে বিপৎসীমার ৫২ দশমিক ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার। অর্থ্যাৎ যা বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপড় দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে পানির গতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ী, খগাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানি, ঝুনাগাছ চাপানি ও গয়াবাড়ী ইউনিয়নের ১৫টি চরসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওইসব ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা। অপরদিকে জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী, শৌলমারী, কৈমারী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ফসলি জমি নষ্ট সহ ঘর বাড়ীতে পানি উঠেছে বলে জানান জনপ্রতিনিধিরা।
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো: মনোয়ারুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে এ যাবত ডিমলা উপজেলার পাঁচ হাজার দুই’শ জন পরিবার পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। তারা উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। পানিবন্দিদের জন্য ২০ টন চাল,শুকনো খাবার,বস্ত্র. প্রয়োজনীয় ঔষধ উপজেলা অফিসে দেওয়া হয়েছে। আজকে আমরা পানিবন্দি এলাকা পরিদর্শনে যাবো। সেখানো প্রয়োজনীয় যা কিছু লাগবে সবগুলো দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। ফসলি জমির ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এখনো পুরোটা জরিপ করা হয়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি আজ সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে পানির গতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।