র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে হত্যাকারী, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র গোলাবারুদ, মাদক দ্রব্য উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণ, প্রতারক ও বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত চাঞ্চল্যকর এবং আলোচিত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও দেশের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকর দিকগুলোর বিরুদ্ধে র্যাবের কার্যক্রম সর্বদা অব্যাহত রয়েছে।
১১ আগস্ট ২০২৫ তারিখে র্যাব ফোর্সেস কর্তৃক রাজধানীর কাওরান বাজারে জনসাধারণ, দোকানদার এবং ব্যবসায়ীদের মাঝে অবৈধ পলিথিন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনসচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন, মহাপরিচালক, র্যাব ফোর্সেস মহোদয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন র্যাব ফোর্সেস এর অতিরিক্ত মহপরিচালক (অপারেশন্্স), অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন), র্যাব ফোর্সেস এর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এছাড়াও জনাব সৈয়দ ফরহাদ হোসেন (যুগ্ম সচিব) পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট), পরিবেশ অধিদপ্তর, জনাব আব্দুল্লাহ আল মামুন (সিনিয়র সহকারী সচিব) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গন।
আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন ছাড়াও দেশের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকর দিকগুলোর বিরুদ্ধেও র্যাবের কার্যক্রম সর্বদা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পলিথিনের ব্যাবহারের উপর বিভিন্ন নির্দেশনা থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিষিদ্ধ পলিথিন গোপনে তৈরী করে বাজারজাত করে যাচ্ছে। ফলে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে পড়ছে। পলিথিনের ব্যবহার পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বিপর্যয় ডেকে আনছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে র্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে র্যাব ফোর্সেস এবং পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথভাবে পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন কার্যক্রমসমূহ গ্রহণ করেছেঃ
-পরিবেশের ক্ষতি রোধ এবং জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে র্যাব জনসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
-এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সারাদেশে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জনগণকে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে জানানো হচ্ছে এবং পরিবেশবান্ধব বিকল্প ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
-ইতিমধ্যে র্যাব ফোর্সেস ঢাকার গুলশান, মিরপুর, কেরাণীগঞ্জ, উত্তরা এবং টঙ্গীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় জনসচেতনা মূলক লিফলেট বিতরণ এবং র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অপরাধীদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং জরিমানার আওতায় নিয়ে এসেছে।
-নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারের পরিবর্তে কী কী পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহার করা যায় এবং আইন লঙ্ঘনের শাস্তির বিধান সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানানো হচ্ছে।
-র্যাব ফোর্সেস স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিভিন্ন পরিবেশ বাদী সংগঠনের সহযোগিতায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
-গণমাধ্যমের সহযোগিতায় আমাদের দেশের প্রত্যেকটি জনগণকে এই সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। অবৈধ পলিথিন রোধে র্যাবের এই সম্মিলিত উদ্যোগ শুধু একটি সরকারি কার্যক্রম নয় বরং একটি জাতীয় আন্দোলনের রূপ নিবে বলে মহাপরিচালক মহোদয় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
-একটি দীর্ঘমেয়াদী ও পরিবেশবান্ধব সমাজ গঠনে অবৈধ পলিথিন উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং ব্যবহার রোধকল্পে জনগণকে আরোও বেশী সচেতন হতে হবে।
এছাড়াও দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যেকোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও অন্যান্য অপরাধমূলক কার্যক্রম দমনে র্যাব তার নিয়মিত টহল, গোয়েন্দা নজরদারি এবং আভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।