বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সোনাইমুড়ীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল সংস্কার কাজে অনিয়ম

  • খোরশেদ আলম, নোয়াখালী উত্তর    
  • ৭ আগস্ট, ২০২৫ ১২:৪৫

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংস্কারকাজে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।তবে ১৪ টি বিদ্যালয়ের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো মেরামত করতে বরাদ্দ আসে। বরাদ্দের টাকা ছাড় দিতে কর্মকর্তারা উৎকোচ দাবি করায় প্রধান শিক্ষকরা প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ করতে পারেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।

তথ্য বলছে, নোয়াখালী সোনাইমুড়ীতে বন্যা পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত ১২২ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর মধ্যে ১৪ টি স্কুল মেরামতের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় স্কুলের ভবনে রং, পলেস্টার,দরজাওয়ালা রং,আসবাবপত্র মেরামতসহ স্কুলের অন্যান্য কাজ সংস্কার করতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার পোরকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গিয়ে দেখা যায়, বন্যা পরবর্তী স্কুলের ফ্লোর, কেচি গেইট ও দরজা-জানলা রং করতে ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৮৯০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাসিম আরা কোন রকম দরজা জানালা কাজ করে বিল পেতে উপজেলা শিক্ষা অফিসে আবেদন করেছেন। রথি- গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক কাজ ও মাঠ ভরাটের জন্য ৩৬ হাজার ৪১৬ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মরিয়মের নেছা কয়েকটি বাল্ব লাগিয়েছেন।স্কুলের মাঠ ভরাট না করে বিল পেতে একইভাবে উপজেলা শিক্ষা অফিসে আবেদন করেছেন। তবে তিনি এখনো বিল পাননি। কাবিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাইড ওয়াল নির্মাণ,ফ্লোর সংস্কার,দরজা জানালা রং করতে ৫ লাখ ৬৬ হাজার ৬৮৫ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ওই স্কুলে এখনো পর্যন্ত ঠিকাদার কাজ ধরেননি। উপজেলার নবাবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩ লক্ষ ৪৩ হাজার ৮৭৩ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। স্কুলের ভবনের ভিতরে ও বাহিরে আস্তর ফেলে পুনরায় করা, ফ্লোর সংস্কারের এই টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। মেসার্স ইডিপিজ কর্পোরেশনের স্বত্বাধিকারী মাহফুজ আলম স্কুলের কাজটি টেন্ডারের মাধ্যমে পান। তিনি নামে মাত্র কাজ করাচ্ছেন বলে জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষক লাকি সাহা। গান্ধী মেমোরিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৯৯ হাজার ২৫২ টাকা বরাদ পান। স্কুলের বাইরে বন্যায় রং নষ্ট হয়। পুনরায় রং করতে ও ১২ টি চেয়ার সংস্কার করতে এ বরাদ্দ পেয়েছেন বলে জানান প্রধান শিক্ষক গৌরী মজুমদার। তবে তিনি স্কুলের ভবনের বাইরের রং এখনো করাননি। চেয়ার কিনতে অনলাইনে অর্ডার করেছেন। কাজ সমাপ্তি দেখিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসে বিল জমা দিয়েছেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার চেকে স্বাক্ষর করে বিল ছাড় দিয়েছেন। তবে তিনি এখনো টাকা উত্তোলন করেননি। এটাকার একটি অংশ উপজেলা শিক্ষা অফিসে দিতে হবে বলে প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন।

সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রকৌশলী ইমদাদুল হক জানান, ১৪ টি স্কুলের মধ্যে ১০ টি স্কুল উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ তদারকি করছে। আর ৪ টি স্কুল পরিচালনা কমিটি ও প্রধান শিক্ষকরা বন্যা পরবর্তী স্কুল মেরামত কাজ করাচ্ছে।দু একটি স্কুলে পলেস্টারের কাজ চলমান।তবে বৃষ্টির কারণে রঙের কাজ করানো সম্ভব হচ্ছে না।

সোনাইমুড়ি উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন জানান, তিনি এখনো সংস্কার কাজ সরেজমিনে দেখেননি। তবে কাজ চলমান রয়েছে।এ সংস্কার কাজে কোন স্কুল থেকেই কোন টাকা দাবি করেনি শিক্ষা অফিসের কোন কর্মকর্তারা বলে তিনি দাবি করেন।

এ বিভাগের আরো খবর