ভোলার বোরহানউদ্দিনে প্রেমিক অন্যত্র বিয়ে করায় অভিমানে গত রবিবার মধ্যরাতে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস নিয়ে নাজমা আক্তার (১৭ ) নামে মাদ্রাসা পড়ুয়া দশম শ্রেনীর এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এ ঘটনার পর থেকে প্রেমিক রাকিব ও তার পরিবারের সদস্যরা গা ঢাকা দিয়েছেন। এদিকে এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে প্রেমিক রাকিব ও তার বাবা মায়ের বিরুদ্ধে আজ বোরহানউদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ওই কিশোরীর বাবা মফিজুল ইসলাম।
নাজমার পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, নাজমার সাথে রাকিবের দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। প্রেমিক রাকিব গত ১১জুলাই নাজমা কে না জানিয়ে অন্যত্র বিয়ে করে ফেলে, যা মেনে নিতে পারেনি নাজমা। এ নিয়ে নাজমার সাথে রাকিবের ঝগড়া হয়, পরে ওই ঝগড়া গড়ায় দুই পারিবারের মধ্যে। এরমধ্যে নাজমা মানষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় একটি সুইসাইড নোট লিখে রবিবার মধ্যরাতের যে কোনো সময় তার শয়নকক্ষে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্নহত্যা করে। সকালে পরিবারের সদস্যরা তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
মৃত নাজমা আক্তার (১৭) বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চৌমহুনী এলাকার মফিজুল ইসলামের মেয়ে। সে স্থানীয় চৌমহুনী দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণী পড়ুয়া ছাত্রী। প্রেমিক একই এলাকার জমাদ্দার বাড়ির সফিজল জমাদ্দারের পুত্র মোঃ রাকিব (২১)।
নাজমার বাবা মফিজুল ইসলাম জানায়, আমার মেয়েটাকে ওরা প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন সময় অনেক অত্যাচার করেছে। আমার মেয়ের প্রতি হওয়া অন্যায় অবিচারের শোক সইতে না পেরে রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে আমার মেয়েটা তার রুমে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান জানায়, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহালের জন্য ভোলা পাঠায়। সুরতহাল শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। নাজমার বাবা বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।