বাংলাদেশের ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার আর যে দুইটি শহর সাধারণত দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার অগ্রভাগে থাকে তা হলো ভারতের দিল্লি আর পাকিস্তানের লাহোর।
তবে আজকের তালিকায় লাহোরের অবস্থান খুবই চমকপ্রদ। লাহোর বাতাসের মান হয়ে উঠেছে ‘ভালো’। মাত্র ৩৯ স্কোর নিয়ে তালিকার ৮৬ তম স্থানে নেমে এসেছে শহরটি, যেখানে ৫ জুলাই শহরটি ছিল এই তালিকার শীর্ষে। তবে দিল্লির কিন্তু এত উন্নতি দেখা যায়নি। ১২১ স্কোর নিয়ে তালিকার ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে শহরটি।
অন্যদিকে, ‘মাঝারি’ মান নিয়ে ঢাকা রয়েছে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ২৩ তম স্থানে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ৯ টা ১০ মিনিটের দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৭৮। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী এটি ‘মাঝারি’ হিসেবে বিবেচিত।
একই সময়ে ১৬৩ স্কোর নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহর মিসরের রাজধানী কায়রো। এই সময় ১৫০, ১৫৩ ও ১৫১ একিউআই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ দূষিত শহর ছিল যথাক্রমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, উগান্ডার কাম্পালা ও কঙ্গোর কিনশাসা।
সাধারণত বায়ুদূষণের সূচক (এইকিআই) শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। তারপর থেকে ১০০ পর্যন্ত একিউআই স্কোর ‘মাঝারি’।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।