বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জয়কে অপহরণের ষড়যন্ত্র মামলা: সাংবাদিক শফিক রেহমান খালাস

  • ইউএনবি   
  • ২৭ মে, ২০২৫ ১৬:৫১

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমানকে খালাস দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৭ মে) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তারিক এজাজ এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় শফিক রেহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, ২৭ এপ্রিল শুনানিতে শফিক রেহমানের খালাস চান আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ। রাষ্ট্রপক্ষও এতে আপত্তি না থাকার কথা জানায়।

শুনানিতে সৈয়দ জয়নুল বলেন, ‘হাসিনাপুত্র জয়কে কথিত অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার মামলা এটি। ভিকটিম নিজেই মামলা করেননি, পুলিশ অতিরিক্ত আগ্রহ দেখিয়ে মামলা করেছে। ৯০ বছর বয়সী শফিক রেহমানকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। মামলায় কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেই। ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন, জয় নিজেও সাক্ষ্য দিয়েছেন। সেদিন বিচারক তার পেছনে দৌড়াচ্ছিলেন—এমন দৃশ্য দেখা গেছে। বিচার নিয়ে আপনি বুঝতেই পারছেন।’

রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা। তিনি প্রথিতযশা সাংবাদিক। খালাস দিলে আপত্তি নেই।’

মামলার নথি অনুযায়ী, জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গত বছরের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মাহমুদুর রহমান, শফিক রেহমানসহ পাঁচজনকে পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন—জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, রিজভী আহমেদ সিজার ও মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

আসামিদের দণ্ডবিধির ৩৬৫ ধারায় (অপহরণ) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই আইনের ১২০-খ ধারায় (ষড়যন্ত্র) দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর শফিক রেহমান ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরদিন জামিনে মুক্তি পান শফিক রেহমান।

পরে গত ১০ ফেব্রুয়ারি একই মামলায় মাহমুদুর রহমান খালাস পান। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে বিএনপি ও এর জোটভুক্ত নেতারা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রে যুক্ত হন।

২০১৫ সালের ৩ আগস্ট ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান পল্টন থানায় মামলাটি করেন। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর