বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাটি এলাকার মানবিক চিকিৎসক অধ্যাপক শাহীন রেজা চৌধুরী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৬ মে, ২০২৫ ২১:৫৪

‘চোখ যে মনের কথা বলে, এটা তোমার কাজল রাঙা চোখ না দেখলে কোন দিন বিশ্বাস করতে পারতাম না। অথবা চোখে চোখে আশা, মনে মনে ভাষা, এরই নাম কি ভালোবাসা।’ এমন কব্যিক কথা প্রেমের গল্প উপন্যাসে পাওয়া যায়। কিন্তু কয়জন এমন ভালোবাসা খুঁজে পায়।

অধ্যাপক ডাক্তার শাহীন রেজা চৌধুরী এক অন্যরকম ভালোবাসায় আবদ্ধ হয়েছেন ভাটি এলাকার মানুষের। সৃষ্টি হয়েছে কিশোরগঞ্জের: ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম; নিখলী, তারাইল, বাজিতপুর, হবিগঞ্জের: আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং; লাখাই, সুনারুঘাট এবং সুনামগঞ্জের: দিরাই, শাল্লাসহ গোটা ভাটি এলাকার অসহায় মানুষের ভালবাসার বন্ধন।

অধ্যাপক ডাক্তার শাহীন রেজা চৌধুরী চক্ষু সেবা দিয়ে ফিরিয়ে দিচ্ছেন অসহায় দৃষ্টিহীনের দৃষ্টি। অন্ধত্ব থেকে রক্ষা পাচ্ছে প্রান্তিক এলাকার অতি দরিদ্র মানুষজন। বিনামূল্যে ছানি অপারেশনসহ চক্ষু চিকিৎসার নানা রকমের সহযোগিতা দিয়ে মানবিক ডাক্তারে পরিণত হয়েছেন তিনি।

তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন দৃষ্টি উন্নয়ন সংস্থা (ডাস) ঢাকা, কলাবাগান, ভুতের গলি, ৪ সার্কুলার রোড, ঢাকা, ডাস চক্ষু হাসপাতাল, মোহাম্মদপুর, চাঁদ উদ্যান ঢাকা। এছাড়া ঢাকায় প্রতি শুক্রবার কলাবাগানে আনোয়ার হোসেন ফ্রি ফাইডে চক্ষু সেবায় বিনা মূল্যে সপ্তাহে একদিন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

দৃষ্টি উন্নয়ন সংস্থা (ডাস) ঢাকা-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মো শাহীন রেজা চৌধুরী এবং চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী।

দৃষ্টি উন্নয়ন সংস্থার সেবা শুধু ভাটি এলাকায় সীমাবদ্ধ নেই। সারাদেশে তিনি এখন প্রতি বছর প্রায় লক্ষাধিক লোককে চক্ষু সেবা দিতে পারছেন এবং প্রায় ৩৫ হাজার লোককে ডাসের ব্যবস্থাপনায় বিনামূল্যে লেন্সসহ ছানি অপারেশন, ফ্রি ঔধষ, কালো চশমা দিয়েছেন।

যেভাবে অসহায় দৃষ্টিহীনের সেবা দেয়া হয়- তিনি যখন জানতে পারেন কোন একটি উপজেলায় দৃষ্টি সমস্যায় মানুষজন ভোগছে, সেখানে তিনি একটি ক্যাম্পের আয়োজন করেন। এতে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতা এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় একটি চক্ষু সেবা ক্যাম্প পরিচালনা করেন। ক্যাম্পে আসা হাজার হাজার চক্ষু রোগীর চোখ পরীক্ষা করেন। সেখানে তিনি বিনামূল্যে চশমা, ওষুধ দেন। এছাড়া, ছানি অপারেশন প্রয়োজন এমন রোগী বাছাই করেন। বাছাইয়ের পর ঐ এলাকা থেকে রোগীকে বিনামূল্যে ঢাকায় এনে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান অবস্থিত দৃষ্টি চক্ষু হাসপাতালে, আগারগাঁওয়ের লায়ন চক্ষু হাসপাতালে এবং হবিগঞ্জের ডা. সহিদ চক্ষু হাসপাতালে অপারেশনের ব্যবস্থা করেন। বিনামূল্যে ল্যান্স, ওষুধ এবং চশমা দেন। তাদের দুই দিন দৃষ্টি চক্ষু হাসপাতালে রাখেন। ডাসের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় রোগীদের নিজ নিজ বাড়ি পৌঁছে দেন।

চলতি (মে) মাসের ১৭ তারিখ কিশোরগঞ্জে ইটনা উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের লাইমপাশা উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি ক্যাম্পের আয়োজন করেন হাজী তারা পাশা ফাউন্ডেশন। তিনি ওই চক্ষু সেবা ক্যাম্পে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেন। দিনব্যাপী প্রায় এক হাজার রোগীর চোখের পরীক্ষা, ছানি রোগ নির্ণয় ও প্রাথমিক চিকিৎসা এবং ৭০০ জনকে ওষুধ ও ৫০০ জনকে চশমা প্রদান করা হয়। প্রাথমিক পরীক্ষার পর ১২০ জন ছানি রোগী বিনামূল্যে অস্ত্রোপচারের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়। তালিকা থেকে ২১ মে প্রথম ব্যাচ ঢাকায় আসে এবং অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করে ২৩ মে বাড়ি পৌঁছে। দ্বিতীয় ব্যাচ ২৩ মে ঢাকায় আসে এবং অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করে ২৫ মে ডা. সহিদ চক্ষু হাসপাতালে আসেন এবং ২৬ মে নিরাপদে বাড়ি ফিরেন ডাসের ব্যবস্থাপনায়।

এর অর্থায়ন করেন আমেরিকার হিউম্যানিটি বিওনড বেরিআরস (HBB, আমেরিকা) প্রতিষ্ঠান। তিনি মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যানে দৃষ্টি উন্নয়ন সংস্থার হাসপাতলে সারাবছর দৃষ্টি সেবা চালু রেখেছেন

এ বিভাগের আরো খবর