বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের মালিকানা কমল

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১৭:১১

গ্রামীণ ব্যাংক থেকে সরকারের মালিকানা কমিয়ে ফেলেছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উত্থাপন করা হয় ‘গ্রামীণ ব্যাংক সংশোধন অধ্যাদেশ’। এই সংশোধনীর মূল বিষয় ছিল গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের বিদ্যমান মালিকানা কমানো। অধ্যাদেশে ব্যাংকটিতে সরকারের মালিকানা ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। উপদেষ্টা পরিষদ এতে সম্মতি জানিয়ে এতে নীতিগত অনুমোদন দেয়। গতকাল সকালে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে রাজধানীর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ‘গ্রামীণ ব্যাংক সংশোধন অধ্যাদেশে’নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকটিতে সরকারের মালিকানা ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৯০ শতাংশ রাখা হয়েছে ব্যাংকের সুবিধাভোগীর জন্য।

প্রসঙ্গত, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ১৯৭৬ সালে ক্ষুদ্র পরিসরে এর পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরুর পর ১৯৮৩ সালের অক্টোবরে জাতীয় আইন দ্বারা গ্রামীণ ব্যাংককে একটি স্বাধীন ব্যাংক হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেয় তদানীন্তন সরকার। এরপর থেকে ব্যাংকটির প্রধান কর্তার দায়িত্ব পালন করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ২০০৬ সালে দারিদ্র্য বিমোচনে অবদান রাখায় নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয় গ্রামীণ ব্যাংক এবং এর প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনুস। তবে পরবর্তীতে বয়সজনিত কারণকে সামনে এনে এর পরিচালনা পর্ষদ থেকে ড. ইউনূসকে অব্যাহতি দেয় তদানীন্তন আওয়ামী লীগ সরকার।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, এখানে গ্রামীণ ব্যাংক আগে যখন কাজ করত, একটা মূল্যবোধ নিয়ে কাজ করত। সেই মূল্যবোধ হচ্ছে যারা গ্রামীণ ব্যাংকের সুবিধাভোগী, তাদেরই অংশগ্রহণ থাকবে ব্যাংক পরিচালনার ক্ষেত্রে। কিন্তু আমাদের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদকে রাজনৈতিকভাবে টার্গেট করা হয়েছিল এবং গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানায় তার যে দর্শন ছিল—‘যে ঋণ নেবে তার হাতেই সুবিধা থাকবে’— সেখান থেকে সরিয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রণ অনেকাংশে নিয়ে আসা হয়।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে যে অধ্যাদেশ সংশোধন করা হলো, তার মাধ্যমে আগে গ্রামীণ ব্যাংক ভূমিহীনদের জন্য কাজ করতো, এখন বিত্তহীনদের একটা সংজ্ঞা সংযোজন করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের পরিসর থেকে বেরিয়ে সিটি করপোরেশন, পৌরসভাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, অধ্যাদেশে বোর্ডের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে—যারা এই ব্যাংকের সুবিধাভোগী, তাদের মধ্যে থেকে ৯ জন নির্বাচিত হয়ে আসবেন। এই ৯ জনের মধ্যে থেকে আবার ৩ জন মনোনীত হবেন এবং তাদের মধ্যে থেকে একজন চেয়ারম্যান নিযুক্ত হবেন। এখানে আরেকটি বিষয় হচ্ছে— পরিশোধিত মূলধন আগে ছিল সরকারের ২৫ শতাংশ, আর সুবিধাভোগীদের ৭৫ শতাংশ । এখন হয়ে গেছে ১০ শতাংশ এবং ৯০ শতাংশ। এ ছাড়া ‘ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্ট ২০১৫’ অনুসারে গ্রামীণ ব্যাংককে জনস্বার্থ সংস্থা হিসেবে বিবেচনা করার একটা বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

এ বিভাগের আরো খবর