বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নির্ধারিত সময়েই, পেছাচ্ছে ৪৭তমের প্রিলিমিনারি

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১১ এপ্রিল, ২০২৫ ১৮:৫৫

কোনো প্রার্থীর একই তারিখে একাধিক বিসিএসের পরীক্ষা পড়লে অবগত করলেই বিকল্প তারিখ নির্ধারণ করে দেবে পিএসসি

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর যে দাবি উঠেছে, তা পরিবর্তন করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি বা পিএসসি)। গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত জানায় পিএসসি। তবে আগামী ২৭ জুন অনুষ্ঠেয় ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছে উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগস্টের প্রথম দিকে এই পরীক্ষা হতে পারে।

পেছাবে না ৪৬ তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা:

জানা গেছে, ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে গত মঙ্গলবার আন্দোলন করেছেন কিছু চাকরি প্রার্থী পরীক্ষার্থী। লিখিত পরীক্ষা পেছানো না হলে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করার ঘোষণাও দেন তারা। ওই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পিএসসি গতকাল বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পিএসসি ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবির পক্ষে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করেছে। কমিশনকে বর্তমানে ৪৪, ৪৫, ৪৬ ও ৪৭তম বিসিএসসহ নন-ক্যাডারের বিভিন্ন নিয়োগ সংক্রান্ত জট নিরসনকল্পে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হচ্ছে। পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে সরকারি কর্ম কমিশন প্রার্থীদের সার্বিক প্রস্তুতির পাশাপাশি তাদের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার ইতি টানার বিষয়গুলো সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিসিএস পরীক্ষাসহ অন্যান্য বড় বড় পরীক্ষা (নন-ক্যাডার, সিনিয়র স্কেল, বিভাগীয় পরীক্ষা) প্রস্তুতিতে প্রশ্নপত্র ছাপানো, উত্তরপত্র ছাপানো এবং বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র নির্ধারণ বিপিএসসির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। যেহেতু বিপিএসসির নিজস্ব অবকাঠামো নেই, তাই এসব কাজ নিরাপদ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা গ্রহণ করা হয়।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অধিকন্তু পরীক্ষা কেন্দ্র নির্ধারণের জন্য বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের প্রাধিকারভুক্ত শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি এসএসসি/এইচএসসির মতো পরীক্ষা, ছুটি ইত্যাদি বিষয়গুলো বিবেচনা করত বিপিএসসির প্রস্তাবিত পরীক্ষাগুলোর জন্য তাদের প্রতিষ্ঠান ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করে থাকে। যেহেতু পরীক্ষা কেন্দ্রের জন্য একই সঙ্গে অনেকগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হয়, তাই বিষয়টি জটিল। সার্বিক বিবেচনায় বিপিএসসি মনে করে বিসিএস ৪৪, ৪৫, ৪৬, ৪৭সহ বিভিন্ন নন-ক্যাডার ও অন্যান্য পরীক্ষা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনকল্পে আগামী ৮ মে বিসিএস ৪৬তম লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠানের যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে তা পরিবর্তন করা বাস্তবসম্মত নয়।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘কোনো প্রার্থীর ক্ষেত্রে ৪৪তম মৌখিক পরীক্ষা ও ৪৬তম লিখিত পরীক্ষা একই দিনে নির্ধারিত হলে সে ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকমিশনকে অবগত করা হলে মৌখিক পরীক্ষার বিকল্প তারিখ নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।’

সার্বিক বিষয়ে এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রার্থীসহ সবার সহযোগিতা চেয়েছে পিএসসি।

৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত

৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগস্টের প্রথম দিকে এই পরীক্ষা হতে পারে। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৭ জুন এই পরীক্ষার হওয়ার কথা ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর পিএসসির উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

২০২৪ সালে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল । এই বিসিএসের মাধ্যমে ক্যাডার পদে ৩,৪৮৭ জন এবং নন-ক্যাডার পদে ২০১ জন নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এ পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ চাকরিপ্রার্থী।

বর্তমানে চারটি বিসিএস পরীক্ষার জট তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে কোনো কোনো বিসিএস প্রক্রিয়া চলছে প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে। এই চারটির মধ্যে ৪৪তম, ৪৫তম এবং ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়। সর্বশেষ ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে প্রকাশিত হয়েছে ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি।

এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বর্তমান পিএসসি কর্তৃপক্ষ পরিকল্পনা করছে বিদ্যমান বিসিএস পরীক্ষাগুলোর জট দ্রুত শেষ করে পরবর্তীতে প্রতিটি বিসিএস এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন করার। পাশাপাশি বিসিএস পরীক্ষার পাঠ্যসূচিতে পরিবর্তন আনার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন সরকারের কাছে যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, তাতে সুপারিশ করা হয়েছে— দেড় বছরের মধ্যে বিসিএস পরীক্ষা এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার। এর মধ্যে প্রথম এক বছরে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে এবং পরবর্তী ছয় মাসে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ ও নিয়োগ শেষ করতে হবে।

অবশ্য এই নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। উল্লেখযোগ্য যে, ২০২১ সালে পিএসসি এক বছরে বিসিএস শেষ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছিল, কিন্তু তা বাস্তবে রূপ নেয়নি। বরং পূর্বের পরীক্ষাগুলোর জট এখনো অব্যাহত রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর