বিশ্বের শক্তিশালী ৫০ দেশের তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইউএস নিউজের করা তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের শক্তিশালী দেশের তালিকায় ৪৭তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ পেছনে ফেলেছে আয়ারল্যান্ডের মতো ইউরোপীয় দেশকেও।
তালিকায় শীর্ষ পাঁচে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও জার্মানি। ইউএস নিউজ জানিয়েছে, পত্রিকাটি জানিয়েছে, বৈশ্বিক নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে থাকা এবং নিয়মিত সংবাদের শিরোনাম হওয়া ও অর্থনীতিতে জোরালো ভূমিকা রাখার বিষয় বিবেচনা করে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
১২তম স্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে মোট ৮৯টি দেশ নিয়ে করা এ তালিকায় পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া, ভুটান ও মালদ্বীপের নাম পাওয়া যায়নি।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন রয়েছে তালিকার ১৪তম স্থানে। আর ইসরাইলের নাম রয়েছে ১০ম স্থানে।
এ ছাড়াও শীর্ষ ৫০টি দেশের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব ৯ম, ইরান ১৬তম, সংযুক্ত আরব আমিরাত ১১তম, তুরস্ক ১৭তম, কাতার ১৯তম, কুয়েত ২৫তম, মিশর ৩২তম এবং জর্ডান ৫০তম অবস্থানে রয়েছে।
এদিকে এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া ৪৩তম ও বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মুসলমানের দেশ ইন্দোনেশিয়া ৩৫তম অবস্থানে রয়েছে।
পত্রিকাটি জানিয়েছে, বিশ্বে এমন কিছু দেশ রয়েছে, যারা প্রতিনিয়ত আন্তর্জাতিক শিরোনামে উঠে আসে, বৈশ্বিক নীতিনির্ধারকদের আলোচনায় স্থান পায় এবং আন্তর্জাতিক অর্থনীতির ধারা নির্ধারণ করে। এ দেশগুলোর পররাষ্ট্রনীতি, সামরিক বাজেট এবং কূটনৈতিক অঙ্গীকারের ওপর নজর রাখে গোটা বিশ্ব। এদের প্রতিশ্রুতি আন্তর্জাতিক মহলে কখনো আস্থা, কখনো ভয়ের জন্ম দেয়। মূলত এই দেশগুলোই বিশ্বমঞ্চে নিজেদের শক্তি ও প্রভাব বলয়ে রেখেছে।
পাওয়ার সাবর্যাংকিং অনুযায়ী, একটি দেশের ‘ক্ষমতা’ নির্ধারণে ৬টি বৈশিষ্ট্য সমানভাবে বিবেচনা করা হয়, এগুলো হলো- বিশ্ব নেতৃত্বে ভূমিকা, অর্থনৈতিক প্রভাব, শক্তিশালী রপ্তানি খাত, রাজনৈতিক প্রভাব, আন্তর্জাতিক জোট ও মিত্রতা এবং শক্তিশালী সামরিক বাহিনী।
এই সূচকের তথ্য অনুযায়ী, যেসব দেশ এই বৈশিষ্ট্যগুলোতে এগিয়ে রয়েছে, তারাই বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।