ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন চারজন, যারা হাসপাতালে পাঞ্জা লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে।
সদর উপজেলার রুহিয়া থানা এলাকার পাটিয়াডাঙ্গী বাজারের খড়িবাড়ি হঠাৎপাড়া গ্রামে রবিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
আহত চারজন হলেন আবদুল জলিল, তার স্ত্রী পারুল বেগম এবং তাদের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক ও ইউনুস আলী।
গুরুতর আহত অবস্থায় সাংবাদিকদের আবদুল জলিল বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) রাত থেকে জাল দিয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বাড়িতে ভাড়া করা লোক এনে হামলা করা হয়েছিল। আমি তারাবির নামাজ আদায় করতে গিয়েছিলাম। এরই মধ্যে আমার ছোট ভাইয়ের বউ খুব ডেঞ্জারাস। সে তার ভাইয়ের ছেলে এনে আমার বড় ছেলেকে মারধর করে। রাতে বিষয়টি কুলায়ে উঠতে পারিনি।
‘পরদিন সকালে প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করি। আমার ছোট ভাইয়ের ছেলেকে শাসন করি। লাঠি দিয়ে মারি। এরই মধ্যে আমার আরেক ভাতিজা সাদেকুল ইসলাম ছুরি দিয়ে আমাদের আঘাত করে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাদেকুলের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রাকিবুল আলম বলেন, ‘ছুরিকাঘাতে চারজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আমরা রংপুর মেডিক্যাল কলেজে রেফার করেছি। তাদের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে।’
রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম নাজমুল হুদা বলেন, ‘খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
‘স্থানীয়রা একজনকে আটক করেছে। তার পূর্ণাঙ্গ নাম, পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ফিরলে বিস্তারিত জানা যাবে।’