নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ার একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ মোহাম্মদ সোহাগের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাণহানি বেড়ে চারজনে দাঁড়িয়েছে।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিউ) সোমবার রাত দেড়টার দিকে ২৩ বছর বয়সী সোহাগের মৃত্যু হয়, যার শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
সোহাগের বড় ভাই মোহাম্মদ রুবেল বলেন, ‘আমাদের বাড়ি নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ থানা এলাকায়। আমার ভাই সোহাগ ও তার স্ত্রী রূপালী দুজনই পোশাক শ্রমিক ছিলেন।’
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, চাষাড়ার একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ আটজনকে বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে সোমবার রাত দেড়টার দিকে সোহাগ নামের আরও একজনের মৃত্যু হয়েছ। এ নিয়ে চারজনের মৃত্যু হলো।
তিনি জানান, এর আগে সোহাগের মেয়ে সুমাইয়া, তার স্ত্রী রূপালী এবং আবদুল মান্নান নামের একজনের মৃত্যু হয়। বতর্মানে চিকিৎসাধীন সাব্বিরের দেহের ২৭ শতাংশ, নুরজাহান লাকির ২২ শতাংশ, সামিয়ার ৯ শতাংশ এবং জান্নাতের দেহের ৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে।
গত ৩ মার্চ চাষাড়ায় ওই বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ আটজন দগ্ধ হন।