চাঁদা দাবির পর না পেয়ে সড়কের কাজ বন্ধ করে দিয়ে ঠাকুরগাঁও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলীদের ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
জেলা সদরের শিবগঞ্জের রসুলপুর শারালী এলাকায় শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় রবিবার সদর থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ২০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন প্রতিষ্ঠানটির কার্যসহকারী রেজওয়ানুল হক।
ঘটনার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করেন এলজিইডির কর্মীরা। এতে থমকে যায় উন্নয়নমূলক সব কাজ।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত শনিবার দুপুরে IRIDP-3 প্রকল্পের আওতায় জেলা সদরে রসুলপুর থেকে শিবগঞ্জ শারালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি সড়কের কার্পেটিং কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। এ সময় ওই এলাকার আলম, আবু হোসেন মতিউর ও আরিফসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০ জনের একটি দল এলজিইডির কার্যসহকারী রেজওয়ানুল হকের পথরোধ করে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে না পারায় সড়কের কার্পেটিং কাজ বন্ধ করে দেন ওই লোকজন। ওই সময় কথাকাটির একপর্যায়ে তারা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে তাকে মারধর করে। এতে রেজওয়ানুল হক গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী মো. ফরহাদ হোসেন সৌরভ, উপসহকারী প্রকৌশলী রাজিবুল হাসান, উপসহকারী প্রকৌশলী নাজমুস সাকিব আকাশ ও ল্যাব সহকারী আমিনুল ইসলাম রেজওয়ানুল হককে দুর্বৃত্তদের হাত থেকে রক্ষা করতে গেলে তাদের ওপরও হামলা হয়। পরে তারাও আহত হলে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনার পর এলজিইডির কার্যসহকারী রেজওয়ানুল হক বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন সদরের শিবগঞ্জ শারালী এলাকার মো. আলম (৫০), আবু হোসেন (৫০), মতিউর (৩৫) ও মো. আরিফ (২৫)।
এ বিষয়ে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন বিশ্বাস বলেন, ‘কাজ করতে গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যদি মারধরের শিকার হয়, তাহলে কাজ করবে কীভাবে? জীবনের নিরাপত্তা দেবে?
‘মামলা হলেও এখনও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। তাই কর্মবিরতি পালন করছে সবাই। আসামিরা গ্রেপ্তার হলে আতঙ্ক কাটবে। কাজে ফিরবে সবাই।’
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুর রহমান জানান, মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান চলমান।