অর্থ পাচারের অভিযোগে করা মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের আপিল মঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার ‘নির্দোষ সাব্যস্ত’ করে রায় দেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ।
এ মামলায় আপিল করতে না পারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও নির্দোষ সাব্যস্ত মর্মে খালাসের রায়ের সুবিধা পাবেন বলে জানান তাদের আইনজীবী।
আদালতে আজ আপিলের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ও মাকসুদ উল্লাহসহ কয়েকজন। আর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আসিফ হাসান।
রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর মামলাটি করে দুদক। এ মামলায় ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
বিচার শেষে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়ে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অর্থ পাচারের এ মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত। এ ছাড়া কারাদণ্ডের পাশাপাশি মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। আর পাচারের অভিযোগে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন আদালত।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে পরবর্তীকালে আপিল করে দুদক। পাশাপাশি গিয়াস উদ্দিন আল মামুনও আপিল করেন।
ওই দুই আপিলের শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বিচারিক আদালতে খালাস পাওয়া তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
অন্যদিকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাত বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন আপিল করেন। সে আপিল মঞ্জুর করে আজ রায় দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।