ইংরেজিকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদা দিয়ে নির্বাহী আদেশে সই করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এ আদেশের ফলে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয়ভাবে স্বীকৃত জাতীয় ভাষা পেল যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে সেখানে ভিন্ন ভাষায় যারা কথা বলেন, তারা কোণঠাসা হয়ে যেতে পারেন বলেন আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় শনিবার ট্রাম্পের এ আদেশের কারণে সরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলো—যারা কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল পায়—ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষায় নথি সরবরাহ ও সেবা দেবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। অর্থাৎ অন্য ভাষায় যদি তারা সেবা দিতে না চান, তাহলে আইনগতভাবে তাদের বাধ্য করা যাবে না।
২০০০ সালে ইংরেজি বাদে অন্য ভাষাভাষীদের ভাষাগত সহায়তা করতে সরকার কিংবা সংস্থাগুলোকে বাধ্য করে দিয়ে একটি ম্যান্ডেট জারি করেছিলেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। নতুন এ আদেশের মাধ্যমে সেটি বাতিল হয়ে গেছে।
এপি, ওয়াশিংটন পোস্ট ও বিবিসির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ট্রাম্পের নির্দেশনায় বলা হয়, ইংরেজিকে সরকারি ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে কেবল যোগাযোগকেই সহজ করা হয়নি, আমেরিকার জাতীয় মূল্যবোধকেও জোরদার করা হয়েছে। একটি সুসংগঠিত ও দক্ষ সমাজ গড়তে এটি সহায়ক হবে।
নির্বাহী আদেশে বলা হয়, ‘এই নীতি আমাদের জাতীয় ভাষা আত্মস্থ করতে ও শেখায় নতুন আমেরিকানদের উৎসাহিত করবে। এতে যুক্তরাষ্ট্র একটি অভিন্ন বসতি হিসেবে গড়ে উঠবে। পাশাপাশি আমেরিকার স্বপ্নপূরণে নতুন নাগরিকদের ক্ষমতায়ন করবে।’
আদেশে আরও বলা হয়, ‘ইংরেজিতে কথা বলার মধ্য দিয়ে তাদের জন্য কেবল অর্থনৈতিক দরজাই খুলে যাবে না, নতুন আগন্তুকরা নিজেদের কমিউনিটির সঙ্গে আরও বেশি করে যুক্ত হতে ও জাতীয় ঐতিহ্যকে গ্রহণ করতে পারবেন। আমাদের সমাজকে তারা আরও বেশি কিছু দিতে পারবেন।’