অপরাধ নিয়ন্ত্রণে অভিযানে কোনো বাহিনীর সদস্যের গাফিলতি পেলে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
জাতীয় শহিদ সেনা দিবসে বনানীতে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে পিলখানায় শহিদ সেনা কর্মকর্তাদের কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এবারের পিলখানার হত্যাকাণ্ডের স্মরণ হচ্ছে ব্যতিক্রমভাবে। এবার এটি জাতীয় শহিদ সেনা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং সেই উপলক্ষে আমরা এখানে এসেছি।’
তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য ইতোমধ্যে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে, যা ২৪ জানুয়ারি থেকে কাজ শুরু করেছে। তিন মাসের মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দেবে, যার ভিত্তিতে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’
গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হওয়া বিশেষ অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অভিযানের সফলতা এবং ব্যর্থতা আপনারাই মূল্যায়ন করতে পারবেন। এখানে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, সে পুলিশ হোক, বিজিবি হোক, র্যাব হোক, আনসার বা কারা অধিদপ্তর হোক।
‘বাহিনীর কেউ যদি গাফিলতি করে, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা সত্য সংবাদটা পরিবেশন করেন। দেখেন আমরা ব্যবস্থা নিই কি না। সম্প্রতি একটি পত্রিকায় দুই এসপির বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশনের পর আমরা কিন্তু ব্যবস্থা নিয়েছি। সত্য সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’
এর আগে ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহিদ সেনা কর্মকর্তাদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন স্বজন ও রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও তিন বাহিনীর প্রধান।